জাতীয় //ক্যাডেটের এক শিক্ষার্থীর পেছনে সরকারের ব্যয় ৫ লাখ টাকা

Share

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, গত অর্থবছরে ক্যাডেট কলেজগুলোতে সরকারি বরাদ্দ ছিল ১৯৮ কোটি টাকা। বর্তমানে ক্যাডেট কলেজগুলোতে ৩ হাজার ৭০০ জন শিক্ষার্থী পড়াশুনা করেন। এ হিসেবে ক্যাডেট কলেজের প্রত্যেক শিক্ষার্থীর পেছনে বছরে সরকারের ব্যয় হয় ৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোজাফ্ফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরে (কোন অর্থবছর সেটা উল্লেখ করা হয়নি) ক্যাডেট কলেজগুলোর সরকারি বরাদ্দ ছিল ১৯৭ কোটি ৫৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। বর্তমানে ক্যাডেট কলেজগুলোতে ৩ হাজার ৭০০ জন শিক্ষার্থী পড়াশুনা করেন। সেই অনুযায়ী ক্যাডেট কলেজগুলোতে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের মাথাপিছু বার্ষিক সরকারি ব্যয়ের পরিমাণ ৫ লাখ ৩৪ হাজার ৪৩ টাকা।

তিনি জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যয় সংক্রান্ত বরাদ্দ সমন্বিতভাবে সম্পন্ন করা হয় বিধায় সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যয় পৃথকভাবে প্রদর্শন করা হয় না।

মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থী প্রতি সরকারের বার্ষিক খরচ ৫০ হাজার ৫১২ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে এ স্তরের ৩৩ লাখ ১৪ হাজার ৪৩৬ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে বরাদ্দ ছিল ১৬ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা। পোস্ট সেকেন্ডারি ননটারশিয়ারি স্তরে ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৫৮ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে সরকারের বরাদ্দ ৭০৭ কোটি টাকা। শিক্ষার্থী প্রতি বার্ষিক খরচ ২০ হাজার ৪৮৯ টাকা। টারশিয়ারি স্তরে ৩৮ লাখ ১২ হাজার ৪১৪ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে বরাদ্দ ছিল ৭ হাজার ৮০৭ কোটি টাকা। এ হিসেবে সরকারের বার্ষিক খরচ ২০ হাজার ৪৭৮ টাকা।

তিনি জানান, বাজেট ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা ও গতিশীলতা আনয়ন এবং শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় সুশাসন, সাম্য ও জবাবদিহিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারি, বেসরকারি ও ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক মাথাপিছু ব্যয়ের ব্যবধান ক্রমান্বয়ে কমছে।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, রাজধানীর পার্শ্ববর্তী বছিলা, হেমায়েতপুর ও সুগন্ধা হাউজিংসমূহে জনবল স্বল্পতার সুযোগে রাজউক থেকে অনুমোদন ছাড়াই মালিকরা অবৈধভাবে বেশিরভাগ ভবন নির্বাচন করেছেন। তবে জনবল বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব এলাকায় ভবন তদারকি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সুযোগে কিছু অসাধু ব্যক্তি রাজউকের নাম ভাঙিয়ে অবৈধভাবে নির্মিত ভবন মালিকদের থেকে টাকা আদায়ের ঘটনা ঘটাতে পারে। এ পর্যন্ত ওই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজউকের কোন কর্মচারীর বিরুদ্ধে ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ করে মালিকদের থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। সুস্পষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে চাকরি বিধি অনুযায়ী দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসআর/এসকেডি

Leave A Reply