সিলেট//সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমা ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

Share

গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে প্লাবিত হচ্ছে জেলার নিম্নাঞ্চল।

টানা চার দিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় পাহাড়ি ঢল নেমেছে। এছাড়া উজানের ঢল ও ভারি বর্ষণে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে বৃষ্টি ও উজানের ঢলে হাওড় এলাকার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল, ব্যাহত হচ্ছে গ্রামীণ যোগাযোগ।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, “সিলেট ও সুনামগঞ্জে ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। ফলে কিছু কিছু নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করে স্বল্পমেয়াদী বন্যা হতে পারে। বৃষ্টিপাত কমে গেলে পানি দ্রুত নেমে যাবে।”

গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ সময়ে যাদুকাটা, চলতি খাসিয়ামারা, চেলা, মনাই, সোমেশ্বরীসহ সব পাহাড়ি নদীর পানি বেড়েছে। ফলে প্লাবিত হচ্ছে জেলার নিম্নাঞ্চল।

এদিকে সুনামগঞ্জ শহরেরে সাহেববাড়ি ঘাট, কাজির পয়েন্ট, নবীনগর, হাছননগর, নতুনপাড়া এলাকায় পানি ঢুকছে। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকার সড়ক ডুবে হু-হু করে ঢলের পানি ঢুকছে হাওড় ও নদ-নদীতে।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মাকসুদ চৌধুরী বলেন, “সুনামগঞ্জে বন্যা মোকাবিলায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে। পানি বাড়ি-ঘরে প্রবেশ করলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিতে হবে।”

তাহিরপুর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে বাদাঘাট ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাহিরপুরের সীমান্ত এলাকায় ঢল নামার ফলে মাটির সড়কগুলোর বেশ ক্ষতি হয়েছে। মধ্যনগর-মহিষখোলায় বন্ধ রয়েছে যান চলাচল।

জামালগঞ্জ উপজেলার পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইকবাল আল আজাদ জানান, আরও যদি বৃষ্টি বাড়ে তাহলে ব্যাপক ক্ষতি হবে। এছাড়া উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় বেশকিছু গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জানান, প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। তবে এখনো বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সালমা পারভিন বলেন, “জলাবদ্ধতার কারণে কিছু বাড়িতে পানি ঢুকেছে। তবে এখনো বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।”

Leave A Reply