ভারতে বিহারের পাটনায় সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের বাড়িতে গত শুক্রবার ২৩ জুন বৈঠকে বসেছিলেন দেশের ১৫টি বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করার অঙ্গীকারবদ্ধ হন সকলে। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারানোর জন্য এক জোট হওয়ার ‘গ্যারান্টি’ দিয়েছিলেন বিরোধীরা। মঙ্গলবার ২৭ জুন বিরোধী জোটের সেই ‘গ্যারান্টি’কে কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “এখন একটা নতুন শব্দ শুনতে পাচ্ছি গ্যারান্টি। কিন্তু বিরোধীদের গ্যারান্টি শুধু দুর্নীতিতেই। কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির গ্যারান্টি দিতে পারেন তাঁরা।” মোদী আরও বলেন, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন তিনি।
মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের ভোপালে একটি জনসভায় যোগ দেন নরেন্দ্র মোদী। সেখান থেকেই বিরোধীদের আক্রমণ করেন তিনি। বিশেষত মোদীর নিশানায় ছিল পাটনার বৈঠক। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “দিন কয়েক আগে বিরোধীদের বৈঠকের ছবি বেরিয়েছে। সেই ছবি দেখলে আপনি স্পষ্ট বুঝতে পারবেন সেখানে প্রত্যেকে মিলিয়ে ২০ লাখ কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে। কংগ্রেস একাই তো লাখ লাখ কোটি টাকার দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত।”
এরপরই মোদী বলেন, “এই দলগুলির শুধুমাত্র দুর্নীতির অভিজ্ঞতা আছে। তাদের একমাত্র গ্যারান্টি আছে দুর্নীতিতে। দেশ এই গ্যারান্টি গ্রহণ করবে কিনা তা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কিন্তু এখানে মোদীর একটা গ্যারান্টি আছে। সেটা হল প্রতিটি দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “কিছু লোক আছেন, যাঁরা শুধু তাঁদের দলের জন্যই টিকে আছেন। তাঁরা কেবল দলের উপকার করতে চান, কারণ তাঁরা দুর্নীতির কমিশন পান। তাঁরা কঠোর পরিশ্রম করতে চান না বললেই এই পথ বেছে নিয়েছেন।”
মোদী বললেন, “বিজেপি কর্মীদের দায়িত্ব নিয়ে সাধারণ মানুষকে এইসব দুর্নীতির কথা বলতে হবে।” ২৩ জুন বিরোধী বৈঠক নিয়ে বিজেপির অন্যান্য নেতা-মন্ত্রীরা মুখ খুললেও প্রধানমন্ত্রী মোদী এতদিন কিছুই বলেননি। বিদেশ সফর থেকে ফিরেই এদিন ভোপালের জনসভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকেই বিরোধী জোটকে আক্রমণ করেন তিনি।