সিলেটে নগরজুড়ে কয়েক দিন ধরে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। দিন ও রাতে নগরের বিভিন্ন এলাকার সড়কে যান চলাচল স্থবির হয়ে থাকতে দেখা গেছে। দাবদাহের মধ্যে যানজটে পড়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীসহ নগরবাসীর। সড়কে যত্রতত্র পার্কিং, ফুটপাত দখল ও কোরবানি ঈদ উপলক্ষে নগরে মানুষের আগমন ও পশু পরিবহন করা যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে সিলেট মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।
নগরের ভুক্তভোগীরা বলছেন, শুক্রবার থেকে সিলেটে যানজট বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে নগরে রাত ১১টা পর্যন্ত যানজট হচ্ছে। যানজটের মধ্যেও দুর্ঘটনা ঘটছে। নগরের ভেতরে দিনের বেলা মালবাহী ট্রাক ঢুকে পড়ছে। এতে যানজট আরও প্রকট আকার ধারণ করছে।
এদিকে দুই দিনে সিলেট নগরে দুটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রোববার বিকেল চারটার দিকে নগরের নাইওরপুল মোড় এলাকায় ট্রাকের চাপায় এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে নগরের লামাবাজার এলাকায় পিকআপ ভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে পিকআপচালক ও অটোরিকশাচালক আহত হয়েছেন।
সোমবার বেলা দুইটার দিকে নগরের জেল রোড এলাকায় রিকশায় বসা ছিলেন নগরের মিরাবাজার এলাকার বাসিন্দা শাহ মো. তানভীর হোসেন। একপর্যায়ে রিকশা থেকে নেমে তিনি হাঁটা শুরু করেন। তানভীর বলেন, ঈদের আগে আজ ব্যাংকে লেনদেনের শেষ দিন। বাসা থেকে বের হয়ে জেল রোড মোড়ে আসতে তাঁর প্রায় ৪৫ মিনিটের মতো সময় লেগেছে। যদিও রিকশা দিয়ে আসতে এ পথে ১০ মিনিটে জিন্দাবাজার পৌঁছে যাওয়ার কথা। কিন্তু তীব্র যানজটে ৪৫ মিনিট আটকে থাকেন। শেষ পর্যন্ত হেঁটেই জিন্দাবাজারের দিকে রওনা হয়েছেন।
আজ নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জেল রোড থেকে পূর্ব জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার থেকে চৌহাট্টা মোড়, মিরবক্সটুলা থেকে চৌহাট্টা মোড়, আম্বরখানা থেকে চৌহাট্টা মোড়, রিকাবীবাজার থেকে লামাবাজার, বন্দরবাজার এলাকা, কালীঘাট ও মহাজনপট্টি এলাকা, বন্দরবাজার থেকে তালতলা, কাজিরবাজার, আম্বরখানা থেকে মিয়া ফাজিলচিস্ত, নাইওরপুল এলাকা, মিরাবাজার থেকে রায়নগর, শিবগঞ্জ এলাকা, সোবহানীঘাট থেকে মেন্দিবাগ ও হুমায়ুন রশীদ চত্বরে বেলা ১১টার পর থেকে থেমে থেমে তীব্র যানজট ছিল।