গত বুধবার (১৯শে অক্টোবর) বৃটেনের বৃহত্তম কমিউনিটি সংগঠন গ্রেটার সিলেট ডেভোলাপমেন্ট এণ্ড ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল ইউকের উদ্যোগে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটির বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সংগঠণের পূর্ব লণ্ডনের কমার্সিয়েল রোডস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সর্ব দলীয় কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে এক গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
জিএসসি ইউকের কেন্দ্রীয় চেয়ারপারসন ব্যারিষ্টার আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীঁয় সাধারন সম্পাদক খসরু খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত গোল টেবিল বৈঠকে বিভিন্ন সংগঠণের নেতৃবৃন্দের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন – জিএসসির পেট্রন ড: হাসনাত এম হোসেন এমবিই, ইউকেবিসিসিআই এর সাবেক প্রেসিডেন্ট বজলুর রশীদ এমবিই, বিবিসিই এর প্রধান উপদেষ্টা শাহগীর বখত ফারুক, জিএসসির পেট্রন ও ভয়েস ফর জাস্টিসের সেক্রেটারী কে এম আবুতাহের চৌধুরী, চীফ চ্যারিটি কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ মনছব আলী জেপি, সিবিপিডির কো-অরডিনেটর ব্যারিষ্টার আবুল কালাম চৌধুরী, লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও পত্রিকা সম্পাদক এমদাদুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম সমিতি ইউকের প্রেসিডেন্ট ব্যারিষ্টার মনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ক্যাটারারস এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মিঠু চৌধুরী, বৃটিশ বাংলাদেশী ক্যাটারারস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল মিয়া, সিবিপিডি সদস্য ব্যারিষ্টার আবুল কালাম, ইউকে বাটার সেক্রেটারী হেলাল খান, বাংলা পোষ্ট সম্পাদক ব্যারিষ্টার তারেক চৌধুরী, সলিসিটর ছহুল আহমদ মকু, বিবিসিই লণ্ডন রিজিয়নের সভাপতি মনির উদ্দিন, প্রবাসী অধিকার পরিষদের সভাপতি জামান সিদ্দিক, গোলাপগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্টের সভাপতি ও জিএসসি নেতা মোহাম্মদ ইছবাহ উদ্দিন, জিএসসি সাউথ ইষ্ট রিজিয়নের সভাপতি এম এ আজিজ ও সাধারন সম্পাদক ফজলুল করিম চৌধুরী, জিএসসির কেন্দ্রীয় প্রেস সেক্রেটারী সুফী সুহেল আহমদ, জিএসসি সিলেট জেলা শাখার সেক্রেটারী আব্দুস সামাদ নজরুল, সাউথ ইষ্ট রিজিয়নের জয়েন্ট ট্রেজারার আবুল মিয়া ও ইষ্ট লণ্ডন শাখার চেয়ারম্যান আব্দুল মালিক কুটি, বাংলাদেশ টিচারস এসোসিয়েশনের প্রেস সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহজাহান, ফাইট ফর রাইট ইন্টারন্যাশনাল এর ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, সাংবাদিক সাজু আহমদ প্রমুখ। সভায় আরও বিভিন্ন নেতৃবন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন -প্রবাসী বাংলাদেশীদের সমস্যা দিন দিন প্রকট হচ্ছে। প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয় পত্র নেই। বার বার ওয়াদা করার পরও হাই কমিশনের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছেনা।বাংলাদেশ হাই কমিশনে নো ভিসা স্টিকার ও পাওয়ার অব এটরনি দিতে ২০১৫ সালের এক আইন দেখিয়ে অযথা হয়রানী করা হচ্ছে। বাংলাদেশী পাসপোর্ট পেতে অধিক বিলম্ব হচ্ছে ।বাংলাদেশে মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বাধাগ্রস্ত ও হয়রানী করা হচ্ছে। প্রবাসীদের জায়গা সম্পত্তি বেহাত হচ্ছে ।সম্প্রতি ৭ জন বৃটিশ বাংলাদেশীকে এক মিথ্যা মামলায় ৮ দিনের কারাবরণ করতে হয়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশীদের এনআইডি কার্ড না থাকায় বাংলাদেশে প্রবাসীরা কি কি সমস্যার সম্মুখীন হন তা তুলে ধরেন। বাংলাদেশী পাসপোর্ট রিনিউ বা নতুন ভাবে করতে সীমাহীন বিডম্বনার শিকার হচ্ছেন। নতুন প্রজন্মের সন্তানদের নো ভিসা স্টিকার প্রদান না করায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বক্তারা এসব সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী, প্রবাস বিষয়ক মন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট সকল মহলের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তারা যুক্তরাজ্যস্থ মাননীয় হাইকমিশনার ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করেন ।
বক্তারা -বাংলাদেশীদের বৃটিশ পাসপোর্টকে এনআইডি কার্ড দেওয়ার আগ পর্যন্ত আইডি হিসাবে স্বীকৃতি দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। প্রবাসীদের ন্যায়সঙ্গত সকল দাবী দাওয়া ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন ।
গোল টেবিল বৈঠকে সকল সংগঠণের নেতৃবন্দদের নিয়ে একটি অ্যাকশন কমিটি গঠণ করার ব্যাপারে ঐক্যমত পোষন করা হয়।এ কমিটি বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ, বৈঠক, স্মারকলিপি প্রেরণ ও প্রয়োজনীয় কর্মসূচী গ্রহণ করবে ।
প্রেসবিজ্ঞপ্তি: