বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, আমরা দিবা স্বপ্ন দেখিনা। আমরা স্বপ্ন দেখি সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার। সত্যিকারের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে গড়ার স্বপ্ন দেখি। আমরা স্বপ্ন দেখি ভোটাধিকার নিশ্চিত করার। বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দল ও ইসলামিক পার্টির সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জ্বালানি তেল ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রাম ময়মনসিংহে সমাবেশ করেছি আমরা। ময়মনসিংহে সমাবেশের আগের দিন থেকে যানবাহন বন্ধ করে দিয়েছে। যানবাহন বন্ধ করে জনগণকে প্রতিরোধ করতে পারেনি। খুলনাতেও সমাবেশের আগেরদিন গাড়ি বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এসব করে জনগণকে ঠেকাতে পারবে না। গণতন্ত্রের দাবিতে, গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারের জনগণ সমাবেশে উপস্থিত হবেন।
বিএনপি এখনও ১/১১ এর স্বপ্ন দেখে। বিএনপির এই স্বপ্ন সফল হবে না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপির প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ এসব বলতেই পারে। আওয়ামী লীগ নিজেরাইতো এখন পর্যন্ত তাদের কোন কথা রাখতে পারেনি। আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করার কোন কারণ নাই। তারা বিশ্বাস করে, তারা যা বলবে কাজ করবে তার উল্টো।
১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে যদি ১০লাখ লোক নামায় আওয়ামী লীগ ৩০ লাখ নামাবে ওবায়দুল কাদেরের এমন হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, এখানে বিএনপির কোন আপত্তি নাই। এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। তারা রাজপথে নামতেই নামতেই পারে। একই সঙ্গে বিরোধীদলগুলোর অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এটা সরকার হিসেবে তাদের দায়িত্ব।
তিনি আরও বলেন, সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ঐক্যমতের লক্ষে সমমনা বিরোধীদলুগলোর সঙ্গে বসেছি আমরা। দ্বিতীয় দফায় এখন পর্যন্ত ১৪টি দলের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আমাদের দাবি এই সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারে হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে এবং সেই সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন গঠন করেই নির্বাচন দিতে হবে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের সবচেয়ে ত্যাগী নেতা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দিতে হবে। তারেক রহমানসহ সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। নিত্যপণ্য ও জ¦ালানী তেল সহ সব কিছুর দাম সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। গত ১৫বছর ধরে যারা দুর্নীতি করে আসছে তাদের চিহিৃত করতে একটি কমিশন গঠন করতে হবে।
জাতীয় দলের সভাপতি এহসানুল হুদা বলেন, বিএনপিসহ সকলকে সাথে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নিবে জাতীয় দল। আমরা বিগত দিনেও বিএনপির সঙ্গে ছিলাম,আগামীতেও বিএনপির সঙ্গে রাজপথে থেকে সরকার পতন আন্দোলনে অংশগ্রহন করবো।
ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাসেম বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হলে এই সরকারের অধীনে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এদের অধীনে কোন নির্বাচন হবে না। জনগণ এখন এই সরকারের কবল থেকে মুক্তির প্রহর গুণছে। এই সরকারের পতনের লক্ষ্যে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে ইসলামিক পার্টি একমত পোষণ করেছে।