বাংলাদেশের কক্সবাজারে আইওএম স্থাপিত ১২টি কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন

Share

স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা সম্প্রসারণে বাংলাদেশ সরকার এবং বিশ্বব্যাংকের যৌথ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) কক্সবাজারে ১০০টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করছে। এর মধ্যে ১২টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

রবিবার (২ অক্টোবর) কক্সবাজারে নবনির্মিত ১২টি ক্লিনিক উদ্বোধন করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ সময় তিনি বলেন, “কোভিড-১৯ মহামারী শুরুর পর থেকে বাংলাদেশ সরকার জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমকে ব্যাপক হারে বাড়িয়েছে।”

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা এখন স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে উন্নয়ন অংশিদারদের সঙ্গে কাজ করছি। কক্সবাজারে নবনির্মিত কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্বোধন, এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য অনেক সরকারি পদক্ষেপের মধ্যে একটি।”

জাহিদ মালেক আরও বলেন, “দেশের দক্ষিণাঞ্চলে মৌলিক অবকাঠামো এবং পরিষেবাগুলোতে বাংলাদেশ প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। জাতীয় পরিষেবাগুলোর গড় বিবেচনায়, এ অঞ্চলে পরিষেবা অনেক কম ছিল। বিদ্যমান স্বাস্থ্য সুবিধাগুলোর মধ্যে অনেকগুলো দুই দশক আগে নির্মিত হয়েছিল। বন্যা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপদের কারণে এ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।”

আইওএম পুরনো ক্লিনিকগুলো ভেঙে, আরও বড় আকারে, পরিবেশগতভাবে টেকসই ভবন তৈরি করছে এই ভবনগুলোর মধ্যে রয়েছে সৌর-চালিত বিদ্যুৎ, নিরাপদ পানি সরবরাহ এবং উন্নত স্যানিটেশন সুবিধা।

বাংলাদেশে আইওএম চিফ অফ মিশন আবদুসাত্তর এসয়েভ বলেছেন, “শরণার্থী এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের বহুমাত্রিক চাহিদা পূরণ এবং তাৎক্ষণিক এবং দীর্ঘমেয়াদী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হলে, মানবিক উন্নয়নে প্রধান ভূমিকা পালনকারীদের মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব প্রয়োজন।”

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার, বিশ্বব্যাংক এবং আইওএম-এর মধ্যে এই সহযোগিতা হলো একটি নিদর্শন। যাতে প্রতিফলিত হয়েছে, কী ভাবে মানবিক-উন্নয়ন সম্পর্ককে দীর্ঘস্থায়ী ফলাফলে রূপান্তর করা যায়।”

বাংলাদেশ ও ভুটানের বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যান্ডান চেন বলেন, “আমরা মানবিক সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী এবং বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছি।”

তিনি বলেন, “আইওএমকে মোট ১৫ কোটি ডলার অনুদান সহায়তা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের স্থানীয় সম্প্রদায়ের চাহিদা পূরণে এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের; মিয়ানমারে নিরাপদ, স্বেচ্ছায় এবং মর্যাদাপূর্ণ স্বদেশে প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত; তাদের সহায়তা করবে।”

আইওএম কক্সবাজার জেলার একমাত্র মাধ্যমিক স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র, সদর হাসপাতাল সজ্জিত করেছে। ২৫০-শয্যার সুবিধা সম্পন্ন বিশেষ হাসপাতালে নবজাতকের যত্ন, জরুরি, নিবিড় পরিচর্যা এবং করোনারি কেয়ার ইউনিট সহ বিশেষায়িত পরিষেবা প্রদান করে। এখানে রয়েছে, কোভিড-১৯ চিকিৎসা, রক্ত সঞ্চালন এবং এইচআইভি এবং অন্যান্যের মধ্যে এইডস রোগের জন্য স্বেচ্ছাসেবী পরামর্শ এবং পরীক্ষার সুবিধা।

প্রকল্পের অবশিষ্ট ক্লিনিকগুলোর নির্মাণ এবং জেলা হাসপাতালের সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে এবং ২০২৩ সালে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রাক-নির্মাণ পর্যায়ে, আইওএম স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলোতে অব্যাহত সুবিধা নিশ্চিত করতে অস্থায়ী কাঠামো তৈরি করে।

Leave A Reply