পাউন্ডের দাম আগে কখনো এতটা কমেনি

Share

নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস ২০ দিন আগে দায়িত্ব নিয়েছেন। তবে তার শুরুটা খুব ভালো হলো না। সোমবার মার্কিন ডলারের তুলনায় পাউন্ডের দাম ছিল সবচেয়ে কম। এক পাউন্ডের দাম ছিল এক দশমিক শূন্য তিন সাত তিন ডলার। পরে দিনের শেষে তা সামান্য বেড়ে দাঁড়ায় এক দশমিক শূন্য সাত ডলার। গত শুক্রবার থেকে পাউন্ডের দাম পাঁচ শতাংশ কমলো।

লিজ ট্রাস সরকার মিনিবাজেটের ঘোষণা করেছে। সেখানে ব্যাপক হারে কর ছাঁটাই করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। তারপরেই পাউন্ডের দাম কমেছে।
গত ৬ সেপ্টেম্বর বরিস জনসনের জায়গায় লিজ ট্রাস প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তারপরই তার সরকার এই কর ছাঁটাইয়ের প্রতিশ্রুতি দিল।

সরকারের পরিকল্পনা
সরকার চার হাজার পাঁচশ কোটি পাউন্ডের কর ছাঁটাই করতে চায়। এর পাশাপাশি সাধারণ মানুষ এবং শিল্প-বাণিজ্য সংস্থাগুলিকে যে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুতের বিল দিতে হচ্ছে, সেখানেও ভর্তুকি দিতে চায় সরকার। তাদের আশা, এর ফলে অর্থনীতি আবার ছন্দে ফিরবে।

কিন্তু অর্থনীতিবিদরা লিজ ট্রাস সরকারের এই পরিকল্পনার সাফল্য নিয়ে সন্দিহান। এর ফলে উন্নয়নের গতি বাড়বে বলে তারা মনে করছেন না।
যেভাবে পাউন্ডের দাম কমছে, তাতে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড আবার জরুরি বৈঠক ডেকে সুদের হার বাড়াতে পারে।
প্রতিক্রিয়া
বিরোধী লেবার পার্টি ইতিমধ্যেই তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। তাদের অর্থনীতি বিষয়ক মুখপাত্র রিভস জানিয়েছেন, ”আমি ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড থেকে আমার চাকুরিজীবন শুরু করি। শুক্রবার থেকে বাজার যেভাবে চ্যান্সেলর অফ এক্সচেকারের পরিকল্পনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে, তা দেখে আমি উদ্বিগ্ন।”

স্কটিশ মন্ত্রী নিকোলা স্টারজিওন অবিলম্বে হাউস অফ কমন্সের বৈঠক ডাকার দাবি করেছেন।
বিশেষজ্ঞ মাইকেল ইভরি রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ”সরকার তো আমাদের ১৯৮০-র দশকে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আর বাজার জানাচ্ছে, এই পরিকল্পনা সফল হবে না।”

জিএইচ/এসজি (এপি, রয়টার্স)

Leave A Reply