শেখ হাসিনার সঙ্গে স্যার স্টারমার-এর সাক্ষাৎ, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব নিয়ে আলোচনা

Share

যুক্তরাজ্যের বিরোধী দলের নেতা এবং লেবার পার্টির প্রধান স্যার কেয়ার স্টারমার বলেছেন যে, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্য চমৎকার সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ এবং ব্রিটিশ-বাংলাদেশি প্রবাসীদের মাধ্যমে তা আরও শক্তিশালী হয়েছে।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ব্রিটিশ লেবার পার্টির প্রধান এ কথা বলেন। এ সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন যে, ইউক্রেন যুদ্ধ সারা বিশ্বের ওপর, বিশেষ করে দক্ষিণ বিশ্বের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। আলোচনার মাধ্যমে এই সংঘাত নিরসন করা যেতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে চার দিনের সফরে লন্ডন রয়েছেন। শেখ হাসিনা রাণীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

স্যার কেয়ার স্টারমার রাণীর স্মরণে তার শ্রদ্ধার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। উভয় নেতা, সাবেক লেবার প্রধানমন্ত্রী হ্যারল্ড উইলসন-এর সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাক্ষাৎ এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে দেওয়া বাণীর জন্য লেবার নেতাকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা। তিনি যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়, লেবার পার্টির মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান সংখ্যক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মানুষ নির্বাচিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “লেবার পার্টি তরুণ প্রজন্মের নেতাদের প্রচার ও দেখভালের জন্য কাজ করছে, যা আরও ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণদের আকৃষ্ট করবে।”

এ সময় দুই নেতা ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ করে দক্ষিণ বিশ্বের ওপর এই যুদ্ধের বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাবিশ্বের সাধারণ মানুষকে খাদ্য, জ্বালানি ও আর্থিক নিরাপত্তাহীনতা থেকে রক্ষা করতে আলোচনার মাধ্যমে সংঘাত নিষ্পত্তির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। একই সঙ্গে তিনি যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জনগণের ওপর প্রভাব ফেলছে কি-না,তা পর্যালোচনার পরামর্শ দেন।

উভয় নেতা চলমান মুদ্রাস্ফীতির চাপ এবং জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটের কারণে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সম্পর্কের সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে মতামত বিনিময় করেন।

লেবার পার্টির নেতা বলেন যে, তারা যুক্তরাজ্য এবং পশ্চিমের বড় খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারকদের ব্যয় ভাগ করে নেওয়ার পক্ষে সমর্থন অব্যাহত রাখবেন।

স্যার স্টারমার, জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশের সঙ্গে কাজ করতে লেবার পার্টির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দু’দেশের মধ্যে জলবায়ু অংশীদারিত্বের প্রসারের প্রশংসা করেন। শেখ হাসিনা লেবার পার্টির নেতাকে মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী উপস্থিতির কারণে বাংলাদেশের ওপর ক্রমবর্ধমান বোঝা সম্পর্কে অবহিত করেন।

তারা বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি সাম্প্রতিক সশস্ত্র সংঘাতের বিস্তার নিয়ে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন যে, বাংলাদেশ তার ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে, এই সংঘাতের প্রভাব ছড়িয়ে পড়া সত্ত্বেও,সর্বোচ্চ সংযম অনুশীলন করছে।

Leave A Reply