একটি প্রাগৈতিহাসিক মাছের জীবাশ্মে সংরক্ষিত সবচেয়ে প্রাচীন হৃদপিণ্ডের সন্ধান পেয়েছেন গবেষকরা। যার বয়স ৩৮ কোটি বছর। এ হৃদপিণ্ড পৃথিবীতে জীবের বিবর্তন সম্পর্কে দিতে পারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। খবর বিবিসি।
মানুষসহ পিঠে হাড় আছে এমন সব প্রাণীর শরীরে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হৃদপিণ্ড। রক্ত-চলাচল সম্পর্কিত এ অঙ্গের বিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তকে ধারণা করে এ প্রাগৈতিহাসিক নমুনা।
হৃদপিণ্ডটি গোগো নামে পরিচিত বিলুপ্ত একটি মাছের। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় আবিষ্কৃত সেই নমুনাটির খবর প্রকাশ হয়েছে সায়েন্স জার্নালে।সাধারণত জীব দেহের নরম টিস্যুর পরিবর্তে হাড় জীবাশ্মে পরিণত হয়। তবে কিম্বার্লির গোগো রক ফরমেশন নামক অবস্থানে মাটিতে থাকা খনিজ উপাদান মাছের লিভার, পাকস্থলী, অন্ত্র ও হৃৎপিণ্ডসহ অনেক অভ্যন্তরীণ অঙ্গ সংরক্ষণ করে৷
গবেষণা দলের প্রধান বিজ্ঞানী পার্থের কার্টিন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক কেট ট্রিনাজস্টিক জানান, এটি তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার। ওই মুহূর্তটি ছিল অবিশ্বাস্যভাবে উত্তেজনাপূর্ণ। হৃদপিণ্ডটি মানুষের বিবর্তন ব্যাখ্যার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি আবিষ্কার।
তিনি আরো বলেন, আমরা এত পুরানো প্রাণীদের নরম অঙ্গ সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কিছুই জানি না।
গোগোর জীবাশ্ম থেকে জানা যায়, এই আদিম মাছের হৃদপিণ্ড অনুমানের চেয়েও বেশি জটিল। মানুষের হৃদপিণ্ডের মতো এর উপরের অংশে দুটি প্রকোষ্ঠ ছিল।
গোগো হলো প্ল্যাকোডার্ম নামক প্রাগৈতিহাসিক মাছের একটি শ্রেণী। এরাই প্রথম মাছ যাদের চোয়াল ও দাঁত ছিল। তাদের আগে কোনো মাছ ৩০ সেন্টিমিটারের চেয়ে বেশি দৈর্ঘ্যের হতো না, তবে প্ল্যাকোডার্ম ৯ মিটার পর্যন্ত হতো।
৬ কোটি বছর ধরে প্ল্যাকোডার্ম ছিল পৃথিবীর প্রভাবশালী জীব। প্রথম ডাইনোসর পৃথিবীতে হাঁটার ১০ কোটির বছর আগেও এরা ছিল।