মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের অবনতিশীল পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে দ্রুত কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক ও জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেন।
গণমাধ্যমে প্রকাশ আগস্ট মাসের তৃতীয়ার্ধ থেকে চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার মিয়ানমারের ছোড়া মর্টারের গোলার বিস্ফোরিত ও অবিস্ফোরিত অংশ বাংলাদেশের সীমান্তের ভিতর এসে পড়ে। পাশাপাশি গত দুই সপ্তাহে একাধিকবার মিয়ানমারের হেলিকপ্টার আকাশ সীমা লংঘন করে বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকেছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অবনতিশীল পরিস্থিতিতে অনাকাঙ্খিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিয়ানমার সামরিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে চায়। এটা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা, শান্তি ও নিরাপত্তার প্রশ্নে হুমকি।
রোহিঙ্গা সংকট এবং রাখাইনের অবনতিশীল পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের শুধুমাত্র উদ্বেগ প্রকাশ করা যথেষ্ট নয়। বাংলাদেশের সীমান্তে সামরিক মহড়া দিয়ে উত্তেজনা তৈরী করা তৃতীয় কোন শক্তির মদতপুষ্ট কিনা, কেউ যুদ্ধের উস্কানি প্রদানের অপচেষ্টা করছে কিনা তাও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। রোহিঙ্গা বিতাড়ণসহ মিয়ানমারের এসব আচরণকে শুধুমাত্র তাদের আভ্যন্তরীণ সংঘাত বা সাদামাটা পরিকল্পনা হিসেবে দেখলে বড় ভুল হবে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা সংকট এবং মিয়ানমারের অবনতিশীল বাস্তবতায় তাদের সামরিক তৎপরতায় নির্বিকার না থেকে বাংলাদেশকে দ্রুত কার্যকর ও গ্রহণযোগ্য কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।