ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র আব্দুল্লাহ আল মামুন খানকে গ্রেফতার করেছে বরগুনা থানা পুলিশ। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বরগুনা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের ডিকেপি রোডে মেয়র আব্দুল্লাহ আল-মামুনের গাড়ি চালক মনিরুল ইসলামের ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বরগুনা থানার এসআই হেলাল খান ও এসআই দেবাশিষের নেতৃত্বে প্রথমে মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ হেউলিবুনিয়া গাড়ির চালক মনিরের গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। বুধবার সকালে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বরগুনা থানার ওসি আলী আহম্মেদ তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, পুঠিয়া থানা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হবে। ইতোমধ্যে পুঠিয়া থানা পুলিশ তাকে নেওয়ার জন্য বরগুনার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
পুঠিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আবদুল বারী জানিয়েছেন, রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র আল মামুন খানের বিরুদ্ধে গত ৫ সেপ্টেম্বর এক নারী বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। ভুক্তভোগী ওই নারী (২৪) পুঠিয়া সদর এলাকার ব্যবসায়ীর মেয়ে। স্বামীর সাথে তালাক হওয়ার সে মেয়রের নিকট চাকরির জন্য আসেন। মেয়র আল মামুন গণ্ডগোহালী গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে ওসি আরও জানিয়েছেন, মেয়র আল মামুন খান ওই নারীকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে তার সঙ্গে জোরপূর্বক একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে রবিবার ৫ সেপ্টেম্বর রাতে থানায় ধর্ষণের একটি অভিযোগ দিলে সোমবার সকালে অভিযোগটি রেকর্ড করা হয়। মামলা দায়েরের পরই মামুন বরগুনায় এসে আত্মগোপন করেন।
মামলার অভিযোগে ভুক্তভোগী ওই নারী উল্লেখ করেছেন, গত এক বছর আগে পৌরসভায় একটি চাকরির জন্য মেয়রের কাছে গিয়েছিলাম। এরপর তিনি বিভিন্ন প্রলোভনে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন। একপর্যায়ে তার এই অনৈতিক কাজে রাজি না হওয়ায় তিনি আমাকে বিয়ের প্রলোভনে আরও কয়েকবার ধর্ষণ করেন। সম্প্রতি মেয়র আমাকে বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। বিষয়টি প্রতিবাদ করায় তার সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। যার জন্য মেয়রের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছি।
তবে এ ব্যাপারে পুঠিয়ার পৌর মেয়র আল মামুন খান জানিয়েছেন, মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।