দেশটি সোমবার বলেছে, নড স্ট্রিম পাইপলাইন দিয়ে গ্যাস সরবরাহের গতি থামিয়ে দেওয়ার মূল কারণ পশ্চিমাদের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা। এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ করবে না রাশিয়া। তবে মস্কো প্রথমে বলেছিল, পাইপলাইনে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে বলে সরবরাহ শিথিল করা হয়েছে। আল-জাজিরা
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বার্তা সংস্থা ইন্টারফেক্সকে বলেছেন, ‘গ্যাস সমস্যার মূল কারণ আমাদের দেশের ওপর পশ্চিমা দেশগুলোর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা। তার মধ্যে যুক্তরাজ্য এবং জার্মানিও রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এছাড়া আর তো কোনো সমস্যা নেই।’পেসকভ বলেন, ‘যেসব নিষেধাজ্ঞার কারণে ইউনিটগুলোর পরিষেবা বাধাগ্রস্ত হয়, যেসব নিষেধাজ্ঞার কারণে ইউনিটগুলো স্থানান্তর হয় না, পশ্চিমাদের আরোপিত নিষেধাজ্ঞাই আজকের এই পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে।’
রাষ্ট্র পরিচালিত গ্যাজপ্রম থেকে শুক্রবার ঘোষণা করা হয়েছে গ্যাস পাইপলাইন লিক হওয়ার কারণে সেটা মেরামত করতে তিনদিন সময় লাগবে বা তার অনির্দিষ্ট সময়ও লাগতে পারে বলে গ্যাজপ্রম জানিয়েছে। এসব সমস্যা-সংকটের মধ্যেই পেসকভ উল্লিখিত কথাগুলো বলেছেন।
নড স্ট্রিম পাইপলাইন-এক ২০১১ সাল থেকে রাশিয়া থেকে পশ্চিম ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ করে আসছে এবং ইউরোপে গ্যাস সরবরাহের জন্য এটিই হলো সবচেয়ে বড় পাইপলাইন।
ইউরোপিয়ান কমিশনের মুখপাত্র বলেছেন, গ্যাস সরবরাহ সম্পূর্ণ করা হয়েছিল একটা ‘ভুল দোহাই’ দিয়ে। মস্কোর পদক্ষেপে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এখন তাদের কথা থেকে অনেকটা সরে গেছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কর্মকর্তারা মস্কোকে দোষারোপ করে বলেছেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এবং ইউক্রেন সমর্থনের প্রতিশোধ হিসেবে রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে।
রাশিয়ার এই উদ্যোগের নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, শীতের মাসগুলোর জন্য ইউরোপের হাতে যথেষ্ট পরিমাণ জ্বালানি আছে।