ইভিএম কিনতে সরকারের ব্যয় হতে পারে ৪ হাজার কোটি টাকা

Share

সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার নতুন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। বর্তমানে ইসির হাতে যে পরিমাণ ইভিএম রয়েছে তা দিয়ে ৭৫-৮০ টি আসনে নির্বাচন করা যাবে।

২০১৭ সালে প্রতিটি ইভিএম কিনতে খরচ পড়েছিল ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। সেই হিসেবে ১৫০ আসনের জন্য ১ লাখ ৭০ হাজার মেশিন কিনতে সরকারের ব্যয় হবে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে এই মেশিনের দাম কিছুটা বাড়তে বা কমতে পারে। তবে আগামী বৃহস্পতিবার খরচের হিসাব জানা যাবে বলে আামদের নতুন সময়কে জানিয়েছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। এদিকে এসব মেশিন কিনতে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় হলে কমিশন প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে মন্তব্য করছেন নির্বাচন বিশেজ্ঞরা।

অশোক কুমার দেবনাথ বলছেন, প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার ইভিএম কিনতে কত টাকা খরচ হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এখনো বর্তমান বাজার দর জানা হয়নি। আগামী ৮ সেপ্টমবার এই প্রকল্পের মোট ব্যয় জানা যাবে। বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) সঙ্গে আলোচনা চলছে। এতে আমরা ডলারে নয়,টাকার হিসেবে কেনাকাটা করবো
।এদিকে নির্বাচন ও আইন বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক গণমাধ্যমকে বলেন, দেশে এমনিতে আর্থিক সংকট চলছে। এমন পরিস্থিতিতে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে এসব মেশিন কিনে ইসি কেন অনাস্থার জায়গা তৈরি করছে, তা আমার কাছে বোধগম্য নয়। তিনি বলেন, ইভিএম যতই ত্রুটিমুক্ত হোক না কেন, এ মেশিনের ওপর বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল ও মানুষের আস্থা নেই।

আবার সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নতুন ইভিএম কিনতে হলে অন্তত: অর্ধ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে। বাংলাদেশি টাকায় যা ৫ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে আমরা চরম সংকটে আছি। আমরা যেখানে ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ করার চেষ্টা করছি। অর্ধ বিলিয়ন ডলার এ কাজে ব্যয় হলে সেটা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এমন অবস্থায় এটি কতোটুকু যুক্তিযুক্ত তা আমার বোধগম্য নয়।

Leave A Reply