মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কারাদণ্ডঃ আইনের দুর্নীতি বিরোধী শক্তি প্রদর্শন

Share

এটি এমন একটি মুহূর্ত, যখন কিছু মালয়েশিয়ান কল্পনায় দেখতে পারছেন, কয়েক বছর আগে তাদের দেশে এবং একটি অঞ্চলে, যেখানে একজন রাজনীতিক- অভিজাত আইনের ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছেন।

২৩ আগস্ট দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়ার ফেডারেল আদালত, দুর্নীতির দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে ঘোষিত সাজা বহাল রেখেছে। তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অথচ, মাত্র ৪ বছর আগে নাজিব মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক ক্ষমতার পিরামিডের শীর্ষে দাঁড়িয়েছিলেন।

ফেডারেল আদালতের রায় নিশ্চিত করেছে যে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মানি লন্ডারিং, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন তহবিল ওয়ান-এমডিবি-এর প্রাক্তন ইউনিট এসআরসি ইন্টারন্যাশনাল থেকে অবৈধভাবে ৯৮ লাখ ডলার গ্রহণ করে, অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গের মতো সাতটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র এবং মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ বলছে যে, কয়েক বছর ধরে ওয়ান-এমডিবি থেকে মোট ৪৫০ কোটি ডলার লুট হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি ডলারে গিয়ে পৌঁছেছে নাজিবের ব্যাংক একাউন্টে। তিনি এখনো এসবের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ৪টি মামলায় ৩৫টি অভিযোগ মোকাবেলা করছেন।

নাজিব ধারাবাহিকভাবে উল্লিখিত অন্যায়গুলো অস্বীকার করেছেন। আর তার সমালোচকরা সন্দেহ করছেন যে তার কারাবাস স্বল্পস্থায়ী হতে পারে।

এই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, তাকে ২০২০ সালে দেওয়া শাস্তির বিরুদ্ধে আর আপিল করার সুযোগ পাচ্ছেন না। তবে, তিনি রাজা আল-সুলতান আবদুল্লাহর কাছে রাজকীয় ক্ষমা প্রার্থণা করতে পারেন।

মালয়েশিয়ায় রাজকীয় ক্ষমা সাধারণত আদালতের দেওয়া সাজার অন্তত অর্ধেক ভোগ করার পর মঞ্জুর করা হয়। মোহন নামে একজন বলেন, “নাজিবকে তার আগে দ্রুত ক্ষমা করা হলে, বিশেষ করে আরও ৪টি মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ক্ষমা করা হলে, বিচারপ্রক্রিয়াকেই উপহাস করা হবে।”

Leave A Reply