ডিজেলের দাম মাত্র পাঁচ টাকা কমিয়ে ১০৯ টাকা করাকে জনগণের সঙ্গে তামাশা অভিহিত করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। একইসঙ্গে দ্রুত দাম বাড়ানোর পূর্বকালীন সময়ের দাম নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছেন জোট নেতারা। সারাবাংলা
বিবৃতিদাতারা হলেন, বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্ক্সবাদী) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ এবং সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হামিদুল হক।
বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি, বিপিসির লোকসান এবং তেল পাচারের কথা বলে সরকার গত ৫ আগস্ট জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটিয়েছিল। এর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়িয়ে দিয়েছিল বাসসহ অন্যান্য পরিবহন ভাড়া। ফলে এই অজুহাতে দ্রব্যমূল্য আর এক দফা বাড়ানো হয়েছিল। বাম জোট এর বিরোধিতা করে যুক্তিসঙ্গতভাবে প্রমাণ করে দিয়েছিল দুর্নীতি, লুটপাট বন্ধ করলে তেলের মূল্যবৃদ্ধি করার তো কোনো কারণ নেই বরং পূর্বের দামেই বিক্রি করা সম্ভব।
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বিবৃতিতে আরও বলেন, জনমনের অসন্তোষকে প্রশমিত করার নামে গতকাল ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৫ টাকা কমানোর যে ঘোষণা সরকার দিয়েছে তা জনগণের সঙ্গে তামাশা এবং ব্যবসায়ীদের সুবিধা বৃদ্ধির নতুন পাঁয়তারা বলে অভিহিত করে জোট নেতারা।
বিবৃতিতে আরও বলেন, এই মূল্য কমানোর কারণে প্রকৃত অর্থে পরিবহনের ভাড়া কমবে না, অন্যান্য ক্ষেত্রেও বর্ধিত মূল্যও কমবে না। তার ফলে পরিবহন মালিক ও অন্যান্যদের আয় কমবে না বরং সরকারের রাজস্ব কমবে মাত্র। তাই জ্বালানি তেল বিশেষত ডিজেল যা পরিবহন, কৃষি, বিদ্যুৎ ও শিল্পখাতে ব্যবহৃত হয় তার দাম কমিয়ে পূর্বের মতো ৮০ টাকা নির্ধারণ করার দাবি জানান।