২৭ আগস্ট ২০২২ গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ ও পদযাত্রা কর্মসূচি সামনে রেখে মোহাম্মদপুর টাউনহল থেকে গণসংযোগ ও পথসভায় নেতৃবৃন্দ

Share

২৭ আগস্ট ২০২২ গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ ও পদযাত্রা কর্মসূচি সামনে রেখে মোহাম্মদপুর টাউনহল থেকে মোহাম্মাদপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত গণসংযোগ ও পথসভায় নেতৃবৃন্দ।
টালবাহানা না করে চা শ্রমিকদের ৩০০ টাকা মজুরির দাবি মানতে হবে।অবিলম্বে জ্বালানি তেলের বর্ধিত দাম প্রত্যাহার কর। দমন-পীড়ন আর ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা রক্ষা করা যাবে না। অবিলম্বে জ্বালানি তেলের বর্ধিত দাম প্রত্যাহার কর।

আজ ২২ আগস্ট সকাল ১১.৩০ টায় মোহাম্মাদপুর টাউনহলের সামনে শুরু হয়ে মোহাম্মাদপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত জ্বালানি তেলের বর্ধিত দাম প্রত্যাহার ও দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে এবং সরকার ও শাসনব্যবস্থা বদলানোর জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে আগামী ২৭ আগস্ট গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ ও পদযাত্রা কর্মসূচি সামনে রেখে গণসংযোগ, প্রচারপত্র বিতরণ ও পথসভার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে গণতন্ত্রের মঞ্চের নেতৃবৃন্দ সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকি, তানিয়া রব, মোমিনুল ইসলাম, আখতার হোসেনু, রাশেদ খান, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, বাচ্চু ভুইয়া, আকবর খান, কবির হাসান, ইমরান ইমনসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

পথসভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যখন আকাশচুম্বী, তখন সারাদেশে চা শ্রমিকরা দিনে মাত্র ৩০০ টাকা মজুরীর দাবিতে আন্দোলন করছেন। অথচ এই দাবি না মেনে শ্রমিকদের হয়রাণি করা হচ্ছে। মালিকপক্ষ তাদেরকে ১৪০ টাকা মজুরী দেয়ার কথা বলছে। আর প্রধানমন্ত্রী ৫ টাকা যোগ করার কথা বলে শ্রমিকদের সাথে উপহাস করছেন। বর্তমানের এই বাজারে এই টাকা মজুরি হিসাবে প্রস্তাব করাই অমানবিক। অবিলম্বে চা শ্রমিকদের ৩০০ টাকা মজুরীর ঘোষণা দেয়ার দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, টালবাহানা কিংবা প্রতারণার পরিণতি ভালো হবে না।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান জনসম্মতিহীন সরকার অযৌক্তিকভাবে জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধি করে জনগণের নাভিশ্বাস তুলেছে। বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধিকে যুক্তি হিসাবে দেখানো হলেও গত সাত বছরে জ্বালানি বেচে সরকার যে ৪৮ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে এবং এই বছরেও সরকার যে ৯ হাজার কোটি টাকা কর আদায় করবে সেই টাকা সমন্বয় করলেই বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধির ফলে যে বাড়তি টাকা খরচ হচ্ছে তা অনায়াসেই সমন্বয় করা যায়। কিন্তু সরকার তা না করে আসলে তার লুটপাট-দুর্নীতির ব্যায়ভার জনগণের ওপর চাপাচ্ছে। নেতৃবৃন্দ বলেন দেশের অর্থনীতি আজকে যে বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ছে এর জন্য দায়ী সরকারের উন্নয়নের নামে লুটপাটের নীতি। সরকার তার কাছের লোকদের লুটপাটের সুযোগ করে দিতেই জ্বালানি খাতকে আমদানি নির্ভর করেছে যার ফলে এখন বৈশ্বিক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা খাঁদের কিনারায় গিয়ে ঠেকেছে। লুটপাট আর পাচারের ফলে যে ডলার সংকট তৈরি হচ্ছে, এই সংকটকে পুঁজি করে জ্বালানী তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে জনজীবনকে দূর্বিষহ করে তুলেছে। আর এর ফলে বাড়ছে সকল পণ্যের দাম। লাভবান হচ্ছে সরকারের ছায়াতলে কতিপয় লুটেরা।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বর্তমান জনসম্মতিহীন সরকার তার অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে সারা দেশে গুম-খুন, পুলিশী হত্যাকাণ্ড, নিজস্ব গুন্ডাবাহিনী দিয়ে হামলা ও ভয় দেখানোর কাজ অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। আজকের এই প্রচারণা ও পথসভাতেও সরকারী সংগঠনের নামধারী কিছু গুন্ডাবাহিনী সভা করতে বাধা দেয় এবং নাগরিক যুব ঐক্যের নেতা শামীমকে মারধর করে। নেতাকর্মীরা প্রচার পত্র বিলি করতে টাউন হলে জমায়েত হলে তাদের বাধা দেয়া হয়, যদিও বাধা অতিক্রম করেই গণতন্ত্র মঞ্চের নেতৃবৃন্দ সেখানে পৌঁছান এবং পথসভা, মিছিল ও প্রচার পত্র বিতরণ কর্মসূচি সম্পন্ন করেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা আগেই বলেছি দমন-পীড়ন করে গণ-আন্দোলন ঠেকানো যাবে না। নেতৃবৃন্দ বর্তমান জনসম্মতিহীন ফ্যাসিবাদী সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে পদত্যাগে বাধ্য করা এবং জনগণের ভোটাধিকার ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রুপান্তর অর্ধ্যাৎ শাসনব্যবস্থা বদলানোর লক্ষ্যে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Leave A Reply