তাইওয়ানকে নিয়ে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার উত্তেজনার ঘটনাগুলো আফ্রিকার দৃষ্টি এড়িয়ে যায়নি এবং এর ফলে আফ্রিকার তড়িৎ প্রতিক্রিয়া বেইজিং-এর প্রতি আফ্রিকার ঝোঁককে দৃশ্যমান করেছে।
এই সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলের সফরের পর বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের সাথে বাণিজ্য আলোচনার ঘোষণা দিয়েছে। এ প্রস্তাব স্ব-শাসিত দ্বীপটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সংসদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির একটি বিতর্কিত ভ্রমণের সময় দেয়া হয়েছিল। তাইপেইয়ের সাথে ওয়াশিংটনের সাম্প্রতিক কথা-বার্তা বেইজিংকে ক্ষুব্ধ করেছে। এর ফলে দ্বীপটির চারপাশে সমুদ্রে চীন সামরিক মহড়া শুরু করেছে।
এ ঘটনায় আফ্রিকার বেশিরভাগ দেশই চীনের পাশে দাঁড়িয়েছে।
বেইজিং গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানকে তার নিজের একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ বলে মনে করে যা প্রয়োজনে জোর করে পুনরায় দখল করা যাবে।
১৯৭৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি করে, চীনের সাথে ওয়াশিংটনের আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক থাকলেও তাইওয়ানের সাথে নেই। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চস্তরের আইনপ্রণেতা পেলোসির সফর বেইজিং-এ রাজনৈতিক ঝড় তুলেছিল।
যেহেতু প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর বৈশ্বিক অবকাঠামো প্রকল্প বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভের ফলে আফ্রিকায় চীনা ঋণ এবং বিনিয়োগ এসেছে, তাই আফ্রিকার আরও দেশ বেইজিং-এর সাথে সম্পর্কের উন্নতি করেছে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি এবং আফ্রিকার বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার চীনকে বিচ্ছিন্ন করার উদ্দেশ্যে তাইওয়ানকে নিয়ে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সর্বসাম্প্রতিক দ্বন্দ্বে বেশিরভাগ আফ্রিকান দেশ বেইজিংকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন জানাচ্ছে।