বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্ট্রা ও নিউক্লিয়াসের প্রতিষ্টাতা দাদা সিরাজুল আলম খান বাসায় ফিরেছেন। দাদা হঠাত করে জ্বর অনুভব করার কারনে ইনফেকশনের ভয়ে বাধ্য হয়ে হাসপাতালে যেতে হয়। মাত্র কিছুদিন তিনি ঢাকার শমরিতা হাসপাতালে চিকিতসাধীন ছিলেন ।হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ হওয়ার কয়েকদিন মাথায়ধ্য আবার ও শারিরিক অবস্থা অবনতির কারনে একই হাসপাতালে ভর্তি হতেে হয়।
সকলের দুয়ায় ও ডাক্তারের চেষ্টার পর দাদা সুস্থবোদ করায় ডাক্তার তিনিকে হাসপাতাল থেকে আজ ডিসচার্জ করছেন। এখন তিনিকে রেষ্টে থাকতে হবে। রীতিমত ঔষধ-পথ্য নিতে হবে।
যে মানুষটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ১০ বতসর সময় নিয়েছিলেন। ১৯৬২ ইংরেজী দাদা, মরহুম কাজী আরেফ আহমদ ও মরহুম আব্দুর রাজ্জাককে সাথে নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য নিউক্লিয়াস প্রতিষ্টা করেছিলেন। দাদা তার কথামত ১০ বতসরে ১৯৭১ ইংরেজীতে স্বাধীনতা উপহার দিয়েছিলেন।
দাদা শুধু শ্রেফ ভৌগলিক স্বানীনতা চান নাই। তিনি বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি চেয়েছেন।দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দাদা দেখতে পান ।দেশের আইন ও ম্বাসনব্যাবস্থার কোন পরিবর্তন হয় নাই। ভৌগলিক স্বাধীনতা পেয়েছি সত্যি ,কিন্তু সরকারও পরিবর্তন হয়েছে । সবকিছুই সেই ব্রিটিশ আমলের কালাকাণুন রয়েছে।
তাইতো দাদা এদেশের মানুষের মুক্তির জন্য ১৪ দফা দিলেন।যার মধ্যে অন্যতম হল দ্বি’কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট,৮/১০টি প্রদেশ,প্রাদেশিক সরকার,উপজেলা পদ্ধতি,বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরন,ব্রিটিশ ও পাকিস্তানী কালাকানুন বাতিল করে নতুন বাংলাদেশের উপযোগী নতুন আইন প্রস্তুত করা.ইত্যাদি।
যে মানুষটি নিজের জন্য কিছু চাননি,এখন ও এই বয়সে সারারাত জেগে দেশের মানুষের জন্য চিন্তা করেন। আসুন আমরা সবাই মহান এই ব্যাক্তির সুস্ততার জন্য মহান আল্লাহতালার কাছে প্রার্থনা করি।
কিছুক্ষন পুর্বে দাদার সাথে আমার টেলিফোনে আলাপ হয়েছে,তিনি বলেছেন সুস্ত আছেন। তিনি’র কথার মাধ্যমে আমার ও মনে হয়েছে,আগের চেয়ে অনেক সুস্ত ।
ছমির উদ্দিন
লন্ডন,
১৪/০৮/২০২২ইংরেজী