তেলের দাম বৃদ্ধিসহ নানা ইস্যুতে দুদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচী দিয়েছে বিএনপি। আজ এই কর্মসূচী শেষ হচ্ছে। এই কর্মসূচীর মূল্যায়ন করে পরবর্তীতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে দলের শীর্ষনেতারা জানিয়েছেন।
দলের নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা কোনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মাধ্যমে ক্ষমতার পালাবদল চান না। নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তনের লক্ষ্য তাদের। তবে অবশ্যই সে নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। আর সে লক্ষ্য অর্জনের জন্যে আগামী বছরের শুরুর দিকে চূড়ান্ত আন্দোলনে যাবে দলটি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি তৃণমূল থেকে দল গোছানোর উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারের দমন-পীড়নের কারণে দলের যে অবস্থা হয়েছে, তা থেকে উঠে আসতেও অনেকটা সময় লাগবে। নির্দলীয় সরকারের দাবিতে এখনই বড়ো কর্মসূচী ঘোষণা করলে মামলা-হামলা আরো বাড়বে। সেক্ষেত্রে নির্বাচন পর্যন্ত আন্দোলনের গতি ধরে রাখা যাবে কি না, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, বৃহস্পতিবার ঢাকা এবং শুক্রবার দেশব্যাপি কর্মসূচির মূল্যায়ন করে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। হাই কমান্ডের নির্দেশ অনুযায়ী বড় ধরনের আন্দোলন বা কর্মসূচি দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, জ্বালানি সংকট, অর্থনৈতিক সংকট, বিদ্যুতের লোডশেডিংÑ সব কিছুর মূলে রয়েছে সরকারের চরম দুর্নীতি। আওয়ামী লীগ সরকার বাঁশ দিয়ে দেশের সর্বনাশ করছে। এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। এখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণের বিষয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, সংসদ বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থায় আমরা নির্বাচনে যাব।
স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। আন্দোলন সংগ্রামও শুরু হয়ে গেছে। ভোলায় গুলি করে মেরেছে, সোমবার শাহবাগে বাম ছাত্রসংগঠনের কর্মীদের নির্মমভাবে পিটিয়েছে। এভাবে সরকার আন্দোলন দমন করতে চায়। কিন্তু তাতে এই সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা যদি শক্তি প্রদর্শন না করি তাহলে সরকার সরকারের জায়গায় থেকে যাবে। আর আমরা জনসভা করব, অগণিত মামলায় জর্জরিত হব। কিন্তু সরকারের পতন ঘটাবে না। রাজপথে আন্দোলনে থাকার মতো শক্তি-সাহস আামদের আছে। আমাদের এই যে গণতান্ত্রিক কর্মসূচি এই কর্মসূচির বাইরে গণতন্ত্র ও সংবিধানসম্মতভাবে অনেক কর্মসূচি আছে। সেই কর্মসূচি দিলে সরকার কেঁপে উঠবে। সেই ধরনের কর্মসূচিই আমাদের দিতে হবে।