চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন লে. কর্নেল ইসমাইল

Share

র‌্যাবের এয়ার উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বনানী সামরিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এসময় র‌্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, নিহত ইসমাইলের পরিবারসহ র‌্যাব ও সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দাফন শেষে কর্নেল মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন র‌্যাব ডিজিসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা।

এর আগে বাদ জোহর ঢাকা সেনানিবাস কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গনে তার তৃতীয় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বনানী সামরিক কবরস্থানে ইসমাইল হোসেনের মরদেহ নিয়ে আসা হলে সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে সশস্ত্র সালাম জানায়।
র‌্যাব সদর দপ্তরে জানাজার আগে ইসমাইলের বড় ছেলে আনান হোসেন বলেন, আমার বাবা হাসি-খুশি মানুষ ছিলেন। সবার সঙ্গে হাসি-খুশিভাবে কথা বলতেন সব সময়। সবাই দোয়া করবেন আমার বাবা যেন হাসি মুখেই জান্নাতে প্রবেশ করেন।

তিনি আরও বলেন, কারণ ছাড়া কারো সঙ্গে রাগ করেনি তিনি। অফিস থেকে ফেরার পর সব সময় রুমে গিয়ে আমাকে খুঁজতেন। তখন আমাকে দেখার সঙ্গে সঙ্গে হাসি দিয়ে বলতেন কেমন আছো বাবা, তুমি দুপুরে খেয়েছো নাকি। বাবা কখনো কারণ ছাড়া রাগ করেনি আমার সঙ্গে। রাগ করলেও পরে বলতেন তোমার ভালোর জন্যই এমন করেছি, তুমি মনে কিছু করো না। বাবা হিসেবে তিনি অনেক ভালো ছিলেন। আপনারা সবাই দোয়া করবেন আল্লাহ বাবাকে যেন জান্নাত নসিব করেন।

এদিকে সকালে র‌্যাব সদর দপ্তরের শহীদ লে. কর্নেল আজাদ মেমোরিয়াল হলে লে. কর্নেল মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, নিহত ইসমাইলের পরিবারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও র‌্যাব সদস্যরা। সেখানে তার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এসময় রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জানানো হয়। নিথর দেহ বিদায় জানানোর সময় তার সহকর্মীরা অশ্রুসিক্ত হয়ে যান।

বুধবার সন্ধ্যায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৫৮৫ ফ্লাইটে লে. কর্নেল মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনের মরদেহ দেশে আনা হয়।

Leave A Reply