টাকা আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত শুরু করে, সোমবার (১ আগস্ট) গ্রামীণ টেলিকমকে চিঠি দিয়েছে, বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদের চার সদস্যের তথ্য চেয়ে রবিবার (৩১ জুলাই) এই চিঠি পাঠানো হয়।
দুদক সচিব মাহবুব হোসেন জানান, “গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে দুদক তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
দুদক সূত্র জানায়, তদন্ত কমিটিতে তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তা হিসেবে রয়েছেন দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ারকে টিম-প্রধান করা হয়েছে। অন্য সদস্যরা হলেন, সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তার ও নূরে আলম সিদ্দিকী।
দুদক সূত্র আরও জানায়, গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে, শ্রমিকদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশ অপব্যবহার, শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধের সময় অ্যাডভোকেট ফি ও অন্যান্য ফি হিসেবে অবৈধভাবে ছয় শতাংশ কর্তন, শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে বরাদ্দের সুদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া, তাদের বিরুদ্ধে কোম্পানি, থেকে নিয়মের বাইরে দুই হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা বিতরণ ও ৪৫ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার টাকা বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে দুদকে। সেগুলোই তদন্ত করছে দুদক।
ভয়েচ অব আমেরিকা