এতদিন রাখা হয়েছিল গোপন স্থানে, এবার অং সান সু চিকে নির্জন কারাবাসে রাখা হলো।
মিয়ানমারের সেনা মুখপাত্র জানিয়েছেন, এতদিন দেশের আইন অনুসারেই সু চিকে গোপন স্থানে রাখা হয়েছিল। এবার তাকে রাজধানীর জেলে রাখা হয়েছে। তবে তিনি নির্জন কারাবাসে আছেন।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সু চিকে গ্রেফতার করা হয়। নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে দিয়ে সেনা তখন ক্ষমতা দখল করেছিল। প্রথমে সু চিকে তার বাড়িতে আটক করে রাখা হয়। পরে তাকে কোনো অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। কোথায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা বলা হয়নি। তবে অনুমান করা হচ্ছিল কোনো সেনা ঘাঁটিতে আছেন সু চি।
সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ৭৭ বছর বয়সি সু চি আগের মতোই মানসিক দিক থেকে শক্ত আছেন। তিনি এই ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলায় অভ্যস্ত। তাই তিনি বিচলিত নন।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ বলেছেন, মিয়ানমারে মানবাধিকার সংক্রান্ত পরিস্থিতি খুবই খারাপ। সেনা অভ্যুত্থানের পর বিক্ষোভ থামাতে গিয়ে গুলি চলেছে। প্রচুর মানুষ মারা গেছেন। বিরোধীদের আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক দুনিয়া কিছুই করছে না। ফলে মিয়ানমারের অবস্থা খারাপ হচ্ছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়ার ডেপুটি ডিরেক্টর ফিল রবার্টসন আল-জাজিরাকে বলেছেন, সেনা শাসকরা সু চি ও তার সমর্থকদের শাস্তি দিতে চাইছে। তারা দেখাতে চাইছে, তারা খুবই কড়াভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা দেখাতে চাইছে, সু চি তার পরিচারক-পরিচারিকা এবং কুকুর নিয়ে থাকতে পারবেন না, তাকে নির্জন কারাবাসেই থাকতে হবে।
তার মতে, এর ফলে দেশজুড়ে সু চির সমর্থকদের মধ্যে সেনাশাসকদের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রবল হয়েছে। কিন্তু সামরিক শাসকরা কোনো কথা শুনছে না। তারা নিজেদের মতো করে কাজ করছে। এর ফলে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে পারে।
সু চি-র বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আছে। বিচারে তার ১৫ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
সূত্র: আল-জাজিরা।