গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির ওপর হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে।
বুধবার রাজধানীর পল্টন মোড়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানিয়েছেন সাত দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সীতাকুণ্ডের ঘটনায় মানবিক সহায়তা দিতে যাওয়া জোনায়েদ সাকিসহ গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের ওপর হামলা সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের প্রকাশ। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের দাবিতে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য সরকারের মনে ভীতির সঞ্চার করেছে। এ জন্য নার্ভাসনেস থেকে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তবে হামলা করে জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই বন্ধ করা যাবে না।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর বহমান মান্না, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল,জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন,এডভোকেট বেলায়েত হোসেন বেলাল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এদিকে বরিশাল ব্যুরো জানিয়েছে, জোনায়েদ সাকির ওপর হামলার প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণসংহতি আন্দোলন। গতকাল সকাল ১১টায় নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এ সমাবেশ হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ছাত্রলীগ জোনায়েদ সাকির ওপর হামলা করেছে। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এ হামলা করা হয়েছে। আমরা এ হামলার নিন্দা জানাই। এদেশে শ্রমিকের জীবনের কোনো মূল্য নেই। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও তাঁদের জন্য নিরাপদ কর্মসংস্থান হয়নি। দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকের পরিবারকে নগদ অর্থ দিয়ে সান্ত্বনা দেওয়া এক ধরনের তামাশা।
গণসংহতি আন্দোলনের বরিশাল জেলা আহ্বায়ক দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলুর সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দলটির জেলা সদস্য সচিব আরিফুর রহমান, সদর উপজেলার সদস্য সচিব ইয়াছমিন সুলতানা, ছাত্র ফেডারেশন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক জামাল কবির প্রমুখ। পরে নেতাকর্মীরা নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।