বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের যুক্তিতে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার করা অর্থ রেমিট্যান্স আকারে ফেরত আনার ঢালাও সুযোগ অনৈতিক ও অসাংবিধানিক বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
দুর্নীতি বিরোধী আন্ততর্জাতিক সংস্থাটি সোমবার এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করেছে। একইসঙ্গে অর্থ পাচারকারীদের এভাবে রাজক্ষমার ঘোষণার প্রেক্ষিতে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে চলমান মামলাগুলোর ভবিষ্যত নিয়ে শংকা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, পাচারকারীরাও প্রবাসীদের পাঠানো আয়ের মতোই আড়াই ভাগ হারে প্রণোদনা পাবেন। একইসাথে পাচার করা অর্থ ফেরাতে আসছে বাজেটে স্বল্প জরিমানা দিয়ে বিদেশে অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ ঘোষণা বা ‘ট্যাপ অ্যামনেস্টি’ দেয়া হবে। এ ধরনের সুযোগ প্রদান সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুন্য সহনশীলতা নীতির সম্পূর্ণ বিপরীত।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী গর্হিত একটি অপরাধের জন্য শাস্তির বদলে পুরস্কারের ব্যবস্থা করা অর্থ পাচারকারী দুর্নীতিবাজদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার শামিল বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
অনৈতিক ও আইন পরিপন্থী এসব সুযোগ বাতিলের দাবি জানিয়েছে টিআইবি। সেই সাথে বিদ্যমান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনের কার্যকর প্রয়োগের মাধ্যমে অর্থপাচার প্রতিরোধ ও পাচারকারীদের চিহ্নিত করে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য কার্যকর উদ্যোগের আহবান জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার সংকটকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ পাচারকারীদের অনৈতিক ও বৈষম্যমূলক সুযোগ দেয়া হচ্ছে, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল।