ইউক্রেনের বন্দরে রাশিয়ার অবরোধের ফলে খাবারের দাম আকাশ ছুঁয়েছে

Share

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানিয়েছে যে, খাদ্য দ্রব্যের বৈশ্বিক মূল্য গতমাসে অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ে গিয়ে স্থিতিশীল হয়েছে। এই মূল্য, মার্চ মাসের তুলনায় সামান্য কম। মার্চে খাদ্যমূল্য ইতিহাসে সর্বোচ্চ পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছিল।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যতদিন চলবে ততদিন পর্যন্ত, খাদ্যদ্রব্যের মূল্য উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না এফএও কর্মকর্তারা। ঐ দুই দেশ মিলিয়ে পৃথিবীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ গম ও বার্লি এবং ৮০ শতাংশ সূর্যমুখির তেল রফতানি করে।

এফএও’র বাজার ও বাণিজ্য বিভাগের সহকারি পরিচালক, জোসেফ শ্মিডহিউবার বলেন, ইউক্রেন থেকে গম, বার্লি ও সূর্যমুখির তেলসহ অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের রফতানি ব্যাহত হওয়ায়, বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তার ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন যে, এতে দরিদ্র দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ।কারণ, বাজারের মূল্য তাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, “এই মুহুর্তে আমরা প্রায় বিদঘুটে একটি পরিস্থিতি দেখছি।” তিনি আরও বলেন, “ইউক্রেনে প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টন রফতানিযোগ্য শস্য রয়েছে। কিন্তু, সেগুলো সেখান থেকে বের করা যাচ্ছে না অবকাঠামোর অভাবে এবং বন্দরগুলোতে অবরোধের কারণে। একই সময়ে, ইউক্রেন থেকে গম রফতানির জন্য কোনও করিডোরও উন্মুক্ত করা হচ্ছে না।”

ইউক্রেনের গ্রীষ্মকালীন শস্য যেমন, গম, বার্লি, এবং ভুট্টা জুলাই ও আগস্ট মাসে কাটা হবে। শ্মিডহিউবার বলেন যে, “যুদ্ধ সত্ত্বেও ফসল কাটার পরিস্থিতি ততটা খারপ নয়।” তিনি জানান যে, প্রায়, ১ কোটি ৪০ লাখ টন রফতানিযোগ্য শস্য থাকার কথা।

এফএও’র ঐ কর্মকর্তা বলেন, “ইউক্রেনের পরিস্থিতি নির্দেশ করছে যে, বর্তমান সমস্যা প্রাপ্যতার নয় বরং সহজলভ্যতার। তিনি বলেন, “বিশ্বের ক্ষুধা মিটানোর মত যথেষ্ট পরিমাণ শস্য রয়েছে। সমস্যা হচ্ছে, খাবার যেখানে দরকার, সেখানে যাচ্ছে না।”

Leave A Reply