সুদর্শন এই তরুণ রাজনীতিবিদকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জুলফিকার আলী ভুট্টোর পর ৩৩ বছর বয়সি বিলাওয়াল হবেন পরিবারের দ্বিতীয় সদস্য যিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে দেশকে সেবা দেবেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও অন্যান্য অতিথিদের পাশাপাশি শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হিনা রাব্বানিও।
পাকিস্তান পিপলস পার্টির সদস্য হিনা রাব্বানির সঙ্গে বেনজির তনয়ের প্রেম-রোমান্স নিয়ে ২০১২ সালে রিপোর্ট করেছিল ভারত ও বাংলাদেশের ট্যাবলয়েডগুলো। হিনা রাব্বানি বিয়ে করেছিলেন পাকিস্তানের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ফিরোজ গুলজারকে। তাদের ঘরে আন্নায়া এবং দিনা নামে দুটো মেয়েও রয়েছে। এ সময় বিলাওয়ালকে স্বামী হিসাবে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন হিনা।
তাকে পেতে স্বামী ফিরোজের ঘর ছাড়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। এমনকি ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যারও চেষ্টা করেছিলেন এই সরকারি কূটনীতিক। এ সময় স্বামী ফিরোজকে নিয়েও নানা সন্দেহমূলক বক্তব্য দেন হিনা। এসব গল্প নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের সোশ্যাল মিডিয়া ছিল সরগরম। কেউ কেউ বলেছেন হিনা-বিলাওয়ালের বিয়ে হওয়া উচিত। পাকিস্তানের আলেমরা তাদের ‘অবৈধ’ সম্পর্ক নিয়ে ফতোয়া দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। উভয়ের পারিবারিক চাপে তাদের সম্পর্ক চলে যায় লোকচক্ষুর অন্তরালে।
ওই সময়ে হিনা এবং তার স্বামীর সম্পর্কে গুজব এবং কেলেঙ্কারি ছড়ানোর ঘটনাকে আইএসের ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছে হিনার পরিবার। ট্যাবলয়েড দাবি করেছে, জারদারির অসন্তোষ থেকে হিনা ও তার স্বামীকে বাঁচানোয় হাত ছিল বিলাওয়ালের। গ্যালাক্সি টেক্সটাইল মিলের ৭ কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল কেলেঙ্কারির খবর ছড়িয়ে পড়েছিল সেই সময়ে-যেটির মালিক হিনার স্বামী ও তার শ্বশুর। হিনাকে টার্গেট করায় বাবার প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন বিলাওয়াল। এ সময় বিলাওয়াল তার বাবাকে হুমকি দিয়েছিলেন, তিনি পিপিপি চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন।
ব্লিট্জ ট্যাবলয়েডের এসব গল্প এখন পুরোনো। নতুন কোনো গল্পের শুরু হতে যাচ্ছে কিনা, তা সময়ই বলে দেবে। তবে পররাষ্ট্র বিভাগের দায়িত্ব পালন করতে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে বিভিন্ন দেশ সফরে যেতে হবেই। আর সেই ফাঁকে নতুন করে পুরোনো গল্প কিংবা ‘নতুন সংসার’ চালু হবে না, এই সন্দেহ এখন খোদ পাকিস্তানেই।
যুগান্তর