বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা বলছেন, ঈদ সামনে রেখে গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধে জরুরিভিত্তিতে সমন্বিত ও কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে হবে। ভাড়া নিয়ে স্বেচ্ছাচারীতা চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক যুক্ত বিবৃতিতে এই আহ্বান জানিয়েছেন তারা। বিবৃতি সই করেছেন জোটের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিসহ আরো অনেকে।
গণপরিবহনের এক শ্রেণির মালিক, পরিবহন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাংশের যোগসাজশে ইচ্ছামতো ভাড়া বাড়ানো এবং আদায় করা হচ্ছে। লাখ লাখ যাত্রী জিম্মি দশায় পড়েছে। তাদের স্বার্থ দেখার এবং ভাড়া নিয়ে তাদের ওপর এই জবরদস্তি রোধ করার কেউ নেই।
নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, ঈদযাত্রায় এই অসহনীয় নৈরাজ্যিক পরিস্থিতিতে মানুষের ইদের সামান্য আনন্দটুকুও মাটি হয়ে যাচ্ছে। তারা ক্ষোভের সঙ্গে উল্লেখ করেন, ইচ্ছেমতো ভাড়াবৃদ্ধি ও চাঁদাবাজির কারণে প্রতিদিন যাত্রীদের কাছ থেকে শত শত কোটি টাকা বাড়তি হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এরপর রয়েছে পথে পথে নানান ভোগান্তি।