গ্রামগজ্ঞের খবর:ভুঞাপুরে সিলিং ফ্যান ছিঁড়ে ২ ভাইয়ের মৃত্যু

Share

টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরে মায়ের সামনে সিলিং ফ্যান ছিঁড়ে দুই ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন শিশু দুটির মাও।

মৃত দুশিশু সা‌জিম (৬) ও সা‌নি (৪ মাস)। তারা উপ‌জেলা নিকরাইল ইউ‌নিয়‌নের এক নম্বর পুনর্বাসন এলাকার ইউসুফের ছে‌লে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুরে ঘরের ভেতরে দুই শিশুকে মৃত অবস্থায় ও তাদের মাকে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে আহত মাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনা‌রেল হাসপাতা‌লে পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে। ঘরের সিলিং ফ্যান পড়ে থাকায় ধারণা করা হচ্ছে তাদের ওপর ফ্যান পড়ে মৃত্যু হতে পারে। তবে বিষয়টি নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভুঞাপুর থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। বিস্তারিত পরে জানাবেন।

ধানক্ষেতে গৃহবধূর হাত-পা-মুখ বাঁধা লাশ

কুমিল্লায় ধানক্ষেত থেকে ফারজানা আক্তার (২৮) নামে এক গৃহবধূর হাত-পা-মুখ বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে স্বামীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জেলার আদর্শ সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের মস্তফাপুর এলাকার লালমাই পাহাড়ের পাদদেশের একটি ধানি জমি তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের ধারণা পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর ফারজানার লাশ এখানে ফেলে রাখা হয়েছে। তাকে হত্যার পর নিহতের স্বামী ইকবাল শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে লাশের সন্ধান দিয়ে পালিয়ে গেছে। এদিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিহত ফারজানার চাচা হাফিজুল ইসলাম জানান, ফারজানার স্বামী ইকবাল হোসেন বাবার বাড়ি থেকে নেশার টাকা এনে দেওয়ার জন্য প্রায়ই তাকে মারধর করত। তাই পরিবারের সবাই মিলে তাকে মাদক নিরাময় সেন্টারে ভর্তি করে দেয়।

৩ দিন আগে ইকবাল মাদক নিরাময় সেন্টার থেকে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে তার বাবার বাড়ি আলেখারচর থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে। শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার সঙ্গে মেয়েকে দিতে না চাইলেও কৌশলে সে ভালো আচরণ করে নিয়ে আসে। পরে রোববার সকালে সে শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে জানায় ফারজানাকে কে বা কারা হত্যা করে লাশ ধান ক্ষেতে ফেলে রেখেছে।

খবর পেয়ে নিহতের পরিবারের লোকজন পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামীসহ তার স্বজনরা পলাতক রয়েছে।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানাধীন ক্যান্টনমেন্ট নাজিরা বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মহিউল ইসলাম বলেন, লাশের মাথায় বড় বড় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার হাত ওড়না দিয়ে হাত-পা বাঁধা, আর মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা। এটা একটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।

 

Leave A Reply