পশ্চিম তীরের সংঘর্ষময় জেনিন ডিস্ট্রিক্ট এ শনিবার ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনী একটি অভিযান পরিচালনা করে, যাতে একজন ফিলিস্তিনি নিহত হন এবং আরও ১২ জন আহত হয়েছেন। এর আগে, ক্রমবর্ধমান সহিংসতা দমনে “কোন সীমারেখা মানা হবে না” বলে সতর্ক করা হয়েছিল।
অভিযানটি কয়েকঘন্টা ধরে চলে। তেল আবিব এ রাতে ঘোরাফেরার জন্য জনপ্রিয় একটি এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেনিনের এক বন্দুকধারী গুলিবর্ষণ করে। ঘটনাটিতে ইসরাইলের তিন জন নাগরিক নিহত এবং আরও ডজনখানেকের বেশি মানুষ আহত হয়েছিলেন ।
ঐ আক্রমণের ঘটনাটির পর, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট “সন্ত্রাসবাদকে পরাস্ত করতে”, ২২ মার্চ থেকে বাড়তে থাকা সহিংসতা দমনে নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে “পূর্ণ স্বাধীনতা” প্রদান করেন।
শনিবার সেনাবাহিনী জানায় যে, নিরাপত্তা বাহিনীগুলো পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত জেনিন শহর, সেখানে অবস্থিত ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবির ও আশপাশের গ্রামগুলোতে একটি অভিযান আরম্ভ করেছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানায় যে, ইসরাইলিদের গুলিতে অন্তত একজন ফিলিস্তিনি ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। অপরদিকে, রেড ক্রিসেন্ট জানায় যে, আরও ১২ জন আহত হয়েছেন।
নিহত ঐ ব্যক্তির লাশটি গাজা-ভিত্তিক ইসলামিক জিহাদ নামক জঙ্গীগোষ্ঠীর পতাকায় মুড়িয়ে, একটি স্ট্রেচারে করে বহন করে মানুষজন রাস্তায় মিছিল করেছে। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা ঐ ব্যক্তিকে ২৫ বছর বয়সী আহমাদ আল-সাদি হিসেবে শনাক্ত করেছেন।
ফিলিস্তিনের নিরাপত্তা সূত্রগুলো জানিয়েছে যে, শনিবারের অভিযানটির একটি উদ্দেশ্য ছিল, তেল আবিবে আক্রমণ পরিচালনাকারীর বাসাটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার আগে সেটি সনাক্ত করা।
সার্বিক শাস্তি হিসেবে ফিলিস্তিনি আক্রমণকারীদের বাসা ধ্বংস করে দেওয়ার ইসরাইলের নীতিটির বিরুদ্ধে, অধিকার কর্মীরা বারবারই নিন্দা জ্ঞাপন করে আসছেন। তবে, ইসরাইল বলে যে এমন নীতি আক্রমণের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
জেনিনের শরণার্থী শিবিরটি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি শক্তিশালী ঘাঁটি। সেখানে ইসরাইল বিরোধী আক্রমণের সাথে সম্পর্কিত আরও তিন ফিলিস্তিনিও গত সপ্তাহে সেনাবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়।