রাশিয়ান বাহিনী দ্বারা অবরুদ্ধ ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি অংশ থেকে বেসামরিক লোকজন যেন সরে যেতে পারে সেজন্য বুধবার রাশিয়া নতুন যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের একটি শহর ছেড়ে হাজার হাজার লোক চলে যাওয়ার একদিন পর এমন ঘোষণা আসে।এদিকে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা দেশের দক্ষিণ অংশে লোকজনের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাবার পথে রাশিয়ার বিরুদ্ধে গোলা বর্ষণের অভিযোগ করেছে। ।
বুধবার রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় নিষেধাজ্ঞা জোরদার করতে সম্মত হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ধনকুবেরদের পাশাপাশি সামুদ্রিক খাত এবং বেলারুশের বেশ কয়েকটি ব্যাংকের ওপর বিধিনিষেধ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দ্যমিত্রি পেসকভ বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র “রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক যুদ্ধ” চালাচ্ছে।
মঙ্গলবার ইউক্রেন আগ্রাসনের পাল্টা জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার তেল ও অন্যান্য জ্বালানি আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি রুশ জ্বালানি শক্তি উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে “পুতিনের যুদ্ধ যন্ত্রের মূল জায়গায় আঘাত করার জন্য” বাইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার ব্রিটেন ২০২২ সালের শেষ নাগাদ রাশিয়ার তেল এবং তেলজাত পণ্য আমদানি ধাপে ধাপে বন্ধ করবে বলে ঘোষণা করেছে।
বুধবার জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা জানিয়েছে, ইউক্রেন থেকে ২২ লাখেরও বেশি মানুষ পালিয়ে গেছে যার অর্ধেকের বেশি গেছে পোল্যান্ডে।
পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্যমিত্রো কুলেবা এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের মধ্যে বৃহস্পতিবার তুরস্কে বৈঠক হবার কথা ছিল। কুলেবা বলেছেন যে, তিনি জেলেন্সকি এবং পুতিনের মধ্যে সরাসরি বৈঠকের প্রস্তাব দেবেন।