ইউক্রেনের শহরগুলোতে রাশিয়ার গোলাবর্ষণের পাশাপাশি মানবিক পারাপার করিডোরের ঘোষণা

Share

রাশিয়ার বাহিনী সোমবার ইউক্রেনের উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলের শহরগুলোতে বোমাবর্ষণ করেছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন যে, রাশিয়া কিয়েভ দখলের আরো কাছাকাছি চলে আসতে পারে। অপরদিকে, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী মানবিক পারাপার করিডোর বাস্তবায়নের সর্বসাম্প্রতিক পরিকল্পনাটির ঘোষণা দিয়েছে। রুশ সেনা যুদ্ধে আটকে পড়া বেসামরিক জনগণের জন্য এমন করিডোরের পরিকল্পনা ঘোষণা করলেও তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।

ইউক্রেনের সশস্ত্রবাহিনী বলছে, রুশ বাহিনী কিয়েভ, খারকিভ, চেরনিহিভ, সুমি এবং মাইকোলায়িভ ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছে। সোমবার দেওয়া এক বিবৃতিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে, বেসামরিক মানুষের উপর গোলাবর্ষণ এবং দখল করা এলাকাগুলোতে একটি মানবিক সঙ্কট সৃষ্টির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন ভঙ্গের অভিযোগ করা হয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি বিবৃতিতে বলা হয় যে, “মানবিক কারণে” রাশিয়ার বাহিনী সোমবার থেকে একটি “নীরবতার কাল” ঘোষণা করবে, যাতে করে মানুষজনের কিয়েভ, খারকিভ, সুমি এবং মারিউপোল ত্যাগ করার জন্য পথ খুলে দেওয়া যায়। বিবৃতিতে জানানো হয় যে, যারা কিয়েভ ত্যাগ করবেন তাদেরকে বিমানে করে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয় যে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাঁক্রোর সরাসরি অনুরোধে পদক্ষেপটি নেওয়া হচ্ছে।

এই ধরণের মানবিক করিডোর স্থাপনের আগের সমঝোতাগুলো দ্রুতই ভেঙে পড়েছিল। মারিউপোলেও এমন একটি সমঝোতা হয়েছিল, যেখানে বোমাবর্ষণের শিকার এই বন্দর নগরী থেকে মানুষজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার পরপর দ্বিতীয় দিনের চেষ্টাটিও রবিবার ভেস্তে গিয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি ভিডিওতে দেওয়া এক বক্তব্যে, রাশিয়ার বাহিনীর বিরুদ্ধে “ইচ্ছাকৃত খুনের” অভিযোগ করেছেন এবং বলেছেন, যেই “নৃশংসতা করেছে” তারই সাজা হবে। তিনি বলেন “কবর ছাড়া বিশ্বে আর কোনো জায়গায় নীরবতা থাকবে না”।

অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন, সিএনএন এর “স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন” অনুষ্ঠানে বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র “বেসামরিক জনগণের উপর ইচ্ছাকৃত হামলার বিষয়ে খুবই বিশ্বাসযোগ্য কিছু প্রতিবেদন দেখেছে, যেটা কিনা যুদ্ধাপরাধের শামিল।” তিনি আরও বলেন, “নির্দিষ্ট কিছু অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে আমরা খুব বিশ্বাসযোগ্য কিছু প্রতিবেদন দেখেছি।”

Leave A Reply