ম্যাক্রোঁ বলেন, “যা কিছু আমাদের অর্জন করার কথা, এখনো আমরা তা অর্জন করিনি। যেসব অভিজ্ঞতা আমি আপনাদের কাছ থেকে অর্জন করেছি , সম্ভবত তাই দিয়ে আমি ভিন্নতর কিছু অবদান রাখবো”।
দ্য এসোসিয়েটেড প্রেস জানায়, ম্যাক্রোঁ জরিপে ৪০% লোকের সমর্থন নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন। ৫ বছর মেয়াদ শেষে তার পূর্বসূরি দুই প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া হল্যান্ডে ও নিকোলাস সার্কোজি’র চাইতে তার সমর্থনের হার বেশি।
ফ্রান্সের নির্বাচনী ব্যবস্থায় প্রার্থীদের নির্বাচিত কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ৫০০টি অনুমোদন পেতে হয়। প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁই প্রথম, যিনি সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছেন আনুষ্ঠানিক প্ৰাৰ্থীতা ঘোষণার আগেই। প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রতিযোগিতায় দাঁড়াতে লোকজনের সংখ্যা সীমিত রাখতে এই নিয়ম চালু করা হয়েছে।
৪৪ বছর বয়সী ম্যাক্রোঁ স্বীকার করেন যে ইউক্রেনে রুশ অভিযান এবং কূটনৈতিক আলোচনায় তার বিশিষ্ট ভূমিকা রাখার জন্য অনিবার্যভাবে তার প্রচারনী পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন কাউন্সিলে ফ্রান্স পালাক্রমে সভাপতির দায়িত্ব পালন করে থাকে।
ইউক্রেন সংঘাতের নিস্পত্তিতে ইউরোপিয়ানদের প্রয়াসের প্রধান হিসাবে ম্যাক্রোঁর নির্বাচনী প্রচারণা প্রচন্ডভাবে তার পররাষ্ট্রনীতির ওপর নির্ভর করবে। অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রচারণায় অভ্যন্তরীণ নীতির প্রতি জোর দেয়া হবে।
ম্যাক্রোঁর প্রতি চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন ২জন চরম ডানপন্থী নেতা, মেরিন লে পেঁ ও এরিক জিম্মুর এবং রক্ষণশীল প্রার্থী, ভ্যালেরি পেকরেসে।
ফরাসি নির্বাচনী সংস্থা, ইপসোসের চেয়ারম্যান, হেনরি ওয়ালার্ডের মতে ম্যাক্রোঁ ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিশাল সুবিধা ভোগ করছেন। ইউক্রেনের যুদ্ধ ও তার দেশের ওপর এর প্রভাব সম্পর্কিত তার ভাষণ শুনেছেন ২ কোটি ১০ লাখ দর্শক।
ওয়ালার্ড দ্য এসোসিয়েটেড প্রেসকে জানান “কোভিড সঙ্কট চলাকালীন তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে ৯ বার ভাষণ দেবার পর এই ভাষণ দিয়েছেন। যেহেতু তিনি দায়িত্বে রয়েছেন এবং সঙ্কট মোকাবেলায় নিয়োজিত রয়েছেন, তাই তিনি অন্যান্য প্রার্থীদের মতো শুধু একই অবস্থানে নন।
[এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি ও রয়টার্স থেকে নেয়া]