প্রতিবেদন:
দক্ষিণ এশিয়াব্যাপী সাম্রাজ্যবাদবিরোধী কমিউনিস্ট শক্তির ঐক্যবদ্ধ কেন্দ্র গড়ে তোলা জরুরি বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ।
শনিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জেল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের উদ্যোগে ‘দক্ষিণ এশিয়ায় কমিউনিস্ট আন্দোলন: সঙ্কট, সম্ভবনা ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
খালেকুজ্জামান বলেন, পৃথিবীব্যাপী বামপন্থিদের উত্থানের সম্ভাবনা নতুন আকারে দেখা দিয়েছে। বামপন্থিদের সঙ্কট যেমন রয়েছে, আবার বিশ্বব্যাপী সম্ভবনার জায়গাটাও স্পষ্ট হচ্ছে। বিশ্বব্যবস্থা হিসেবে পুঁজিবাদের ব্যর্থতা আজ সকলের সামনে উন্মোচিত। জনগণ বিকল্পের সন্ধান করছে। তিনি সব বাম পন্থী দলগুলোকে দক্ষিণ এশিয়ায় জনগণের লড়াইয়ে বামপন্থিদের নেতৃত্ব গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার সমস্ত আন্দোলন, সমস্ত লড়াইই আসলে চুড়ান্তরূপে বামপন্থিদের এজেন্ডা। সে যে নামেই দাড়াক। এটাই আমাদের এই অঞ্চলের সবথেকে বড় সম্ভবনার জায়গা।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, বিশ্ব ইতিহাসে কিছু পিভটাল পয়েন্ট বা কালের সন্ধিক্ষণ থাকে। সেইরকম একটা সন্ধিক্ষণ হয়ত আমরা পার করছি দক্ষিণ এশিয়ার জন্য। সেই যুগ আর বেশি দূর নেই যেসময় বিশ্ব বিপ্লবের নতুন উলম্ফন ভবিষ্যতে এই অঞ্চলকে ঘিরে হবে। তিনি বলেন, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী পুঁজিবাদী অর্থনীতি ক্রমাগত পতনের দিকে। তাই বেঁচে থাকতে হলে তাদেরকে এখন প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করতে হবে। আমাদেরকে শোষিতের ঐক্য গড়তে হবে এবং শোষকের বিরুদ্ধে পরিচালিত করতে হবে।
বিমল রত্নায়েক বলেন, মার্কস বলেছিলেন বিপ্লব হবে উন্নত ধনতান্ত্রিক দেশে। কিন্তু ১৯১৪ সালে লেনিন দেখালেন যে পুঁজিবাদ যখন সাম্রাজ্যবাদের স্তরে রূপ নেয় তখন অনুন্নত দেশেও বিপ্লব সম্ভব। তিনি বলেন, গত ১০০ বছরের ইতিহাস দেখলে দেখা যাবে পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক মডেল কোন অনুন্নত দেশকে উন্নত করতে পারেনি। তবে আশার বিষয় আমাদের এই অঞ্চলে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন এখনও প্রধাণত বামপন্থিদের নিয়ন্ত্রণে। দ্বিতীয়ত, এই অঞ্চলের জাতীয় মুক্তির আন্দোলনে প্রধানত ভূমিকা রেখেছে বামপন্থি শক্তিগুলো।