বৃদ্ধা মিনারা বেগমের জমির পরিমাণ খুবই সামান্য। ৫ বছর আগে তার একমাত্র মেয়েকে উইল করে দেন শেষ সম্ভব। যদিও সেখানে উল্লেখ থাকে তার জীবন দশায় মেয়ে পাবেন না জমি।
এরই মাঝে গরু বিক্রির টাকা নিয়ে হয় মা-মেয়ের মধ্যে ঝগড়া। একই সময় শেফালি ও তার শ্বশুরবাড়িতে চলছিল কলহ। সেখানে স্বামীর অত্যাচারে অসহায় হয়ে পড়েন তিনি।
সিদ্ধান্ত নেন মাকে হত্যা করে দ্রুত উইল করা সম্পত্তির মালিক হবেন তিনি। সোহেল নামে এক সহকর্মীর সঙ্গে পরিকল্পনা করেন মাকে হত্যার।
শেষমেষ গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে ধর্মীয় সভার কথা বলে বাড়ি থেকে বের করেন বৃদ্ধা মাকে। পথে চেতনা নাশক খাইয়ে শ্রীপুর উপজেলার ভিটিপাড়া এলাকায় গলা কেটে হত্যা করে একটি ঝোপে ফেলে যায় শেফালি-সোহেল। পরদিন পুলিশ অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠান।
গাজীপুরে সহকারী পুলিশ সুপার আজমীর হোসেন বলেন, হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে কাজ শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও স্থানীয়ভাবে অনুসন্ধানে বৃদ্ধা নিখোঁজের সূত্র ধরেই গ্রেফতার হয় মেয়ে শেফালি।
পরে তার দেওয়া তথ্য মতে অপর ঘাতক সোহেলরানাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার শ্রীপুর মডেল থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান সহকারী পুলিশ সুপার আজমীর হোসেন। তিনি জানিয়েছেন অভিযুক্তরা হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে চাকু।
স্বামীহারা মিনারা বেগম দীর্ঘদিন ধরে কেওয়া পূর্বখণ্ড এলাকায় তার মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছিলেন। তিনি মাত্র আটগণ্ডা জমি ও কয়েকটি গরুর মালিক ছিলেন।