এদিকে জানুয়ারি মাসে বিদেশি বিনিয়োগ ও শেয়ার ক্রয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৪ কোটি ৩৫ লাখ ডলার—গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ হারে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগ ও শেয়ার ক্রয়।
কোভিড-১৯ মহামারির প্রথম বছর ২০২০ সালে ভিয়েতনাম তেমন একটা আক্রান্ত হয়নি। সেবার তাদের কোভিড মোকাবিলার পদ্ধতি বিশ্বজুড়ে সমাদৃত হয়। কিন্তু ২০২১ সালে ভিয়েতনামে সংক্রমণ অনেকটাই বেড়ে যায়। তবে সেই অবস্থা তারা কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে। ফলে বাড়তে শুরু করেছে এফডিআই। গত মাসে এফডিআই তহবিল ৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ১৬১ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। গত মাসে সিঙ্গাপুরের নেতৃত্বে মোট ৩৩টি দেশ ভিয়েতনামের বাজারে বিনিয়োগ করেছে।
করোনা মহামারির মধ্যে গত বছর ভিয়েতনামে প্রায় ৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলার বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। ভারতে এসেছে ৬ হাজার কোটি ডলারের বেশি। আর বাংলাদেশে এসেছে মাত্র ২৫৬ কোটি ডলারের বিনিয়োগ।
বিনিয়োগকারীরা দেখতে চান, সরকার কী ধরনের সহায়তা দিচ্ছে এবং বিনিয়োগ প্রক্রিয়া কতটা সহজ। এরপর তাঁরা দেখতে চান, ব্যবসা করার পরিবেশ কেমন। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে এই দুটি বিষয় সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিয়েতনাম ঠিক এখানেই উন্নতি করেছে। সে জন্য বিশ্লেষকেরা মনে করেন, সরকারকে এই দুই খাতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
এ ছাড়া তারা অনেক দেশের সঙ্গে ইতিমধ্যে মুক্তবাণিজ্য ও অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি করেছে। অথচ বাংলাদেশ এখনো কোনো দেশের সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি করতে পারেনি।