গৌরব আর গর্বে ভরা বাঙালির এ বিজয়

Share

উনিশ ’শ একাত্তর সালের ষোল-ই ডিসেম্বরের এই দিনে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে নতমস্তকে আত্মসমপর্ণ করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। আজ বাঙালি জাতির গৌরবের দিন। বিশ্ব মানচিত্রে লাল-সবুজের পতাকার স্থান পাওয়ার দিন। যেসব বীর সন্তানের রক্তে ভেজা প্রাণের বিনিময়ে এই পতাকা ও মানচিত্র এসেছে, তাঁদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা আর অফুরন্ত ভালোবাসা।
আজ বাংলাদেশ ও স্বাধীন জাতীয় রাষ্ট্র হিসেবে ৫০ বছর পূর্তির দ্বারপ্রান্তে। তাই পেছন ফিরে তাকালে আমাদের স্বস্তির অনেক কারণ পাওয়া যায়। অন্তত এ ৫০ বছরে আমাদের অর্জন খুব একটা কম নয়। হয়তো অর্জন আরও বেশি হতে পারত। তবে যা হয়েছে তা খুব সামান্যও নয়, এককথায় অসামান্য এখন বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে সম্মানজনক দেশ ও রাষ্ট্র হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে আমাদের আরও অনেক বিষয়ে আরও গভীর মনোযোগ দিতে হবে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বিনা উসকানিতে প্রথমে বিভিন্ন ব্যারাকে সশস্ত্র বাহিনী, ইপিআর, পুলিশ বাহিনীর ঘুমন্ত বাঙালি সৈনিক তারপর সারা দেশের নিরীহ-নিরস্ত্র মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ ও গণহত্যার মাধ্যমে যে যুদ্ধের সূচনা, তা মোকাবিলায় আক্রান্ত বাঙালি তাৎক্ষণিক প্রতিরোধযুদ্ধ শুরু করে এবং মধ্য এপ্রিল ১৯৭১ সালের মধ্যে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের একটি আদল ও কাঠামো গঠিত হয় এবং প্রতিরোধযুদ্ধ রূপান্তরিত হয় সর্বাত্মক জনযুদ্ধে। সৈন্যবল, অস্ত্রবল, প্রশিক্ষণ সব অর্থেই এটি ছিল একটি অসম যুদ্ধ। কিন্তু ন্যায়নীতি ও নৈতিকতার বিচারে এ যুদ্ধ ছিল ঘোরতর অন্যায়-অবিচার ও চূড়ান্ত বর্বরতার বিরুদ্ধে জাতীয় মুক্তির এক ন্যায়যুদ্ধ। ৫০ বছরের পরিবর্তনকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন সূচকের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য দর্পণে দেখারও সুযোগ আছে। তাহলে ভবিষ্যতে আমাদের বর্তমান অপূর্ণতার কিছু বিষয়ে দৃষ্টি নিবদ্ধ করা সম্ভব হবে।
আমাদের মনে রাখতে হবে, প্রবৃদ্ধি ও সুশাসন পাশাপাশি হাত ধরাধরি করে চলতে হবে। এ যোগসূত্র দুটোকেই বেগবান ও টেকসই করবে, ভবিষ্যতে টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে এখানে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রয়োজন হবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে আজকের এই উত্তরণ- যেখানে রয়েছে এক বন্ধুর পথ পাড়ি দেয়ার ইতিহাস সরকারের রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের এটি একটি বড় অর্জন। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাহসী এবং অগ্রগতিশীল উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের ফলে, যা সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কাঠামোগত রূপান্তর ও উল্লেখযোগ্য সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে দ্রুত উন্নয়নের পথে নিয়ে এসেছে। স্বাধীনতার পর থেকে নানা ধরনের রাজনৈতিক সঙ্কট, মিলিটারি ক্যু, ষড়যন্ত্র ইত্যাদি দেশকে বহু বছর পিছিয়ে দিয়েছিল। স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মাথায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা, জাতীয় চার নেতাকে জেলের মধ্যে নির্মমভাবে হত্যা, সামরিক শাসনসহ নানা ঘটনা দেশের জন্য কলঙ্ক বয়ে আনে। এছাড়াও বৈদেশিক সাহায্য-সহযোগিতা কমে যেতে শুরু করে এবং দেশ গভীর সঙ্কটে পড়ে যায়।
এমতাবস্থায় ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশের মাটিতে ফিরে আসেন। শুরু করেন স্বৈরাচার বিরোধী গণতন্ত্র পুনররুদ্ধারের আন্দোলন, যার ফল আজকের সুখী-সমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। এ মহান যাত্রায় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। এরপরও তিনি দমে যাননি। অদম্য সাহসিকতার সঙ্গে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এবং বিশ্বের বুকে একটি মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন বাংলাদেশকে। যার ফল আজকের উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভসহ নানা সূচকে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্জন ও অগ্রগতি। আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের ফলে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে আরও মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে।
বিশ্বের প্রতিটি দেশ এখন বাংলাদেশকে আরও সম্মানের চোখে দেখবে, পাশাপাশি সমীহ করবে, যা এ দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য হবে অত্যন্ত সম্মানের ও মর্যাদার। উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হওয়ায় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি বিশ্ব দরবারে বিভিন্ন দরকষাকষিতে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্ত হবে। এছাড়া ভাবমূর্তি উন্নয়নের ফলে বৈদেশিক ঋণ পাওয়াও হবে সুবিধাজনক। সাধারণত উন্নয়নশীল দেশের শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির কারণে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে আস্থা পায়। তাই উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার ফলে বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি পাবে। নতুন শিল্প-কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে ব্যাপক শিল্পায়ন হবে, যা দেশে প্রচুর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করবে এবং মানুষের জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও দেশে বৈদেশিক মুদ্রা প্রবাহের ফলে রিজার্ভ আরও শক্তিশালী হবে। ফলে নানামুখী উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সহজ হবে, যা দেশের বেকারত্ব সমস্যা দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। অনেক দেশের সঙ্গে নতুন নতুন ব্যবসা-বাণিজ্যের দ্বারও উন্মুক্ত হবে। দেশের নানা সূচকে মর্যাদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদেশী পর্যটকদের সংখ্যাও অধিকহারে বৃদ্ধি পাবে। বিশ্বের নানা দেশ থেকে এ দেশের পর্যটন খাতে বিনিয়োগ আসবে, যা বহুমুখী রফতানিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। মহান স্বাধীনতা বাঙালী জাতির অনবদ্য শ্রেষ্ঠতম অর্জন। ৩০ লাখ শহীদ ও তিন লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের এই মহান কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা। আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আমাদের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। এ বছর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অর্থাৎ ৫০ বছরে পা দিল বাংলাদেশ। সকল বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল বিশ্বে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এটি আমাদের এক বিরাট অর্জন। ২০৪১ সালের মধ্যে আধুনিক উন্নত দেশের কাতারে শামিল হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অতিক্রম করল বাংলাদেশ। গত ২৪ নবেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করার সুপারিশ অনুমোদন করেছে, যা ২০২৬ সাল থেকে কার্যকর হবে। এর আগে ২০১৮ সালে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন নীতি সংক্রান্ত কমিটি (সিডিপি) এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়। উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জনের জন্য মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক এ তিনটি সূচকের যে কোন দুটি অর্জনের শর্ত থাকলেও বাংলাদেশ উন্নীত হয়েছে তিনটি সূচকের মানদন্ডেই। ৩ বছর পর এ বছরেও বাংলাদেশ এ তিন সূচক অর্জন করেছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এ অর্জন আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের ও সম্মানের। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলের (ইকোসক) মানদন্ড অনুযায়ী উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেতে হলে একটি দেশের মাথাপিছু আয় হতে হবে কমপক্ষে ১২৩০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় তার থেকে অনেক বেশি অর্থাৎ ২৫৫৪ মার্কিন ডলার। মানবসম্পদ সূচকে ৬৬ প্রয়োজন হলেও বাংলাদেশ অর্জন করেছে ৭৩ দশমিক ২। অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক হতে হবে ৩২ ভাগ বা এর কম। যেখানে বাংলাদেশের রয়েছে ২৪ দশমিক ৮ ভাগ। এ যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১১ সালে জাতিসংঘের চতুর্থ এলডিসি সংক্রান্ত সামিটে। সেই সম্মেলন এলডিসি থেকে উত্তরণে ইস্তান্বুল প্ল্যান অব এ্যাকশন গৃহীত হয়। সম্মেলন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করতে কর্মপন্থা নির্ধারণ করেন এবং সেই ধারাবাহিকতায় আজকের এ অর্জন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে সবার অঙ্গীকার হবে বাংলাদেশকে দারিদ্র্য ও ক্ষুধা, দমন-পীড়ন ও বৈষম্যমুক্ত সোনার বাংলায় রূপান্তর করে বিশ্বমঞ্চে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন অনুযায়ী সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ হবে সমৃদ্ধিশালী একটি দেশ। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়া যেমন গৌরবের, তেমনি তা চ্যালেঞ্জেরও। বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উপনীত হয়েছে এবং জাতিসংঘ থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের উন্নয়নের ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করছে। এভাবে চলতে থাকলে খুব দ্রুতই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উপনীত হবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে পরিণত হবে উন্নত রাষ্ট্রে।
বাংলাদেশ সম্পর্কে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ ১২টি দেশকে টপকে গেছে। আগামী ১৫ বছরে টপকে যাবে আরও ১৭টি দেশ। এই যাত্রার প্রথম পাঁচ বছরে ৫ টি দেশকে টপকে যাবে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ হবে ৩৬তম অর্থনীতির দেশ। পরের পাঁচ বছর আরও ৯টি দেশকে পেরিয়ে ২০২৮ সালে হবে ২৭ তম বড় অর্থনীতির দেশ। পরের পাঁচ বছরে টপকাবে আরও ৩টি দেশ। এক দশক ধরে বাংলাদেশ গড়ে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
এখন ক্রয়ক্ষমতার সমতা অনুসারে বা পিপিপি ডলারে মাথাপিছু জিডিপি ৪ হাজার ৬০০ ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা দেশটিকে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণে সহায়তা করেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় প্রবৃদ্ধির পেছনে কারণ হলো অভ্যন্তরীণ ভোগ চাহিদা, সরকারি ব্যয়, প্রবাসী আয় ও রফতানি। নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ এসব কারণেই সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। যে সোনার বাংলার স্বপ্ন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন, যে অর্থনৈতিক মুক্তি চেয়েছিলেন মানুষের, যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ গড়তে চেয়েছিলেন সকলের জন্য, তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সে পথেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এখন বিশ্বের অনেক দেশের জন্যই উদাহরণ। অর্থনীতি ও আর্থসামাজিক বেশিরভাগ সূচকে বাংলাদেশ ছাড়িয়ে গেছে দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সবগুলো দেশকে। নিম্ন আয়ের দেশ গুলোকে ছাড়িয়েছে তো অনেক আগেই। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলেছে, একটি জনবহুল ও নিম্ন আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যেভাবে প্রবৃদ্ধির সঙ্গে দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং বৈষম্য কমানোকে সংযুক্ত করেছে, তা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। সবাইকে অর্ন্তভুক্ত করে প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন উদাহরণ দেওয়ার মতো একটি দেশ। বিশ্ব ব্যাংকের হিসেবেও বাংলাদেশের এ অগ্রগতিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বিশেষভাবে। সম্প্রতি তারা একটি টেবিল উপস্থাপন করে দেখিয়েছে উন্নয়নের প্রধান ১২টি সূচকের মধ্যে ১০টিতেই বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া এবং অন্যান্য নিম্ন আয়ের দেশের তুলনায় এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুত। শেখ হাসিনার উন্নয়নবান্ধব মনোভাব আর দৃঢ় সংকল্পে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে চলমান অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকলে খুব সহসাই বাংলাদেশ বিশ্ব অর্থনীতিতে আরো জোরাল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিজেদের শামিল করতে পারাটা গর্বের বিষয়। তবে দেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে এ অর্জন ধরে রেখে উন্নত দেশ গড়ার জন্য কাজ করে যেতে হবে। সকল ধরনের দুর্নীতিকে না বলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াই হোক মূল লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষায় আমরা বলতে চাই, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের এই ঐতিহাসিক মাহেন্দ্রক্ষণে তারুণ্যদীপ্ত বাংলাদেশ সব চ্যালেঞ্জ উত্তরণ ঘটিয়ে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, শোষণ-বৈষম্যহীন, উন্নত-সমৃদ্ধ ও জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে অধিষ্ঠিত হোক এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।
লেখকঃ গবেষক ও কলামিস্ট

Leave A Reply