ভেবেছিলাম শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় এর সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে কিছু লিখবো না। ১২/ ১৩ দিনের ক্রিয়া কান্ড, ছাত্রী হলে প্রভোস্টের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, তারপর পদত্যাগ, পরবর্তীতে ভিসিকে ঘেরাও, ক্যাম্পাসে ছাত্র পুলিশ সংঘর্ষ, পরবর্তীতে অনশন এবং ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবি – আমাকে ভাবায়।
সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়া সিলেট অঞ্চলের প্রায় পঞ্চাশ লাখ প্রবাসীর মতো আমিও উদ্বিগ্ন। সিলেট অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয় এর কথা বলতে গেলেই একটি আবেগ অনুভূতি কাজ করে। চোখের সামনে চলে আসে আমাদের পূর্ব পুরুষদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা নিয়ে সংগ্রামের দিনগুলো। চোখ ভিজে আসে।
ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় ইউরোপের অক্সফোর্ড ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের আগে সিলেট অঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব ছিল। অক্সফোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয় ১০৯৬ এবং ক্যামব্রিজ প্রতিষ্ঠিত হয় ১২০৯ খৃস্টাব্দে। আর সিলেট অঞ্চলের মৌলভীবাজারের জুড়ির চন্দ্রপুরে ৯৩৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। যার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন চন্দ্রবংশীয় রাজা শ্রী চন্দ্র। পরবর্তীতে ভারতবর্ষের সবচেয়ে পুরনো নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে তুর্কি আক্রমণে এই বিশ্ববিদ্যালয়ও ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।
ব্রিটিশ ভারতে ১৮৭৪ সালে আসাম নামে একটি নতুন প্রদেশ গঠন করা হয়, বৃহত্তর বাংলার তিনটি জেলা- সিলেট, কাছাড় ও গোয়ালপাড়া অন্তর্ভুক্ত হয় এই প্রদেশে। খুব বেশি সময় যেতে না যেতে এই প্রদেশ পরিচিত হয়ে উঠল ‘চা প্রদেশ’ হিসেবে। রাজনীতি, প্রশাসন, অর্থনীতি ও শিক্ষা প্রভৃতি ক্ষেত্রে সিলেটের বাঙালিরা অনেক বেশি এগিয়ে থাকলেও উপেক্ষিত হলো সিলেট অঞ্চলের মানুষের শিক্ষার আকাঙ্খা। একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন। ১৯০৫ সিলেটকে আবার বাংলার অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে যুক্ত করা হয় এবং ১৯১২ সালে পুনরায় আসামের সাথে একীভূত করা হয়। ব্রিটিশ ভারতের সবচেয়ে অগ্রসরমান অঞ্চল হিসাবে সিলেটের বাঙালিরা আসামের চেয়ে হাজার গুণ এগিয়ে ছিল বিশেষ করে ইংরেজি শিক্ষায়। এই ভাঙ্গা গড়ায় খেলায় সিলেটের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন ঝাপসা হয়ে যায়।
১৯২০ সালে সিলেটের বজেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী যিনি আসাম আইনসভার মেম্বার ছিলেন। সুস্পষ্টভাবে তিনি বলেছিলেন, “আসামের জন্য যে অর্থ ব্যয় হবে সিলেটিরা কেন সে খরচ বহন করবে আর সিলেটিরা কোন শর্তে সিলেটের পরিবর্তে আসামে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে সম্মত হবে।”
১৯২১ সালে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় সেই সময় থেকেই আসাম প্রদেশের মানুষজন বিশেষ করে সিলেটের মানুষরা একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিল। ১৯২৫ থেকে ১৯৩৮ পর্যন্ত বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে ও তা সফল করা যায়নি। ১৯৪০ এর পর তখনকার শিক্ষামন্ত্রী মুনাওর আলী ‘শ্রীহট্ট বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। কিন্তু কিছু অসমিয় প্রস্তাবের বিরোধিতা করে এবং তা নাকচ করে দেয়। তবে শেষ পর্যন্ত অনেক নাটকীয়তার পর্ব শেষে ১৯৪৬ সালে ‘শ্রীহট্ট বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনের প্রস্তাব আসাম ব্যবস্থাপনা পরিষদে গৃহীত ও পাস হয়। কিন্তু ১৯৪৭ সালে সিলেট গণভোটের মাধ্যমে পাকিস্তানের সাথে যুক্ত হওয়ার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের স্বপ্ন অধরাই থেকে যায় সিলেটি বাঙালিদের জন্য। সিলেটেরবাসীর স্বপ্নের ‘শ্রীহট্ট বিশ্ববিদ্যালয়’ পরবর্তীতে গৌহাটিতে স্থাপিত হয়।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ১৯৬২ সালের শিক্ষা সংস্কার আন্দোলনের পাশাপাশি সিলেটে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের আন্দোলন জোরদার হতে থাকে। সিরাজুন্নেসা চৌধুরী (প্রয়াত স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর মা) এই আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। যে হলের ছাত্রীরা আজ ভিসি বিরোধী আন্দোলন করছেন সেই হলের নামকরণ করা হয়েছে এই মহিয়সী নারীর নামে। সিলেটের বিশ্ববিদ্যায়লয় স্থাপনের দাবীতে আন্দোলন জোরদার হলে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে আশ্বস্থ করার পরও ১৯৬৪ সালে ফজলুল কাদের চৌধুরীর ইশারায় ও ধূর্ততায় বিশ্ববিদ্যালয়টি চট্রগ্রামে স্থাপন করা হয়।
১৯৬২ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের এই অংশে (সিলেট) বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ লাভ করেনি। দেশ স্বাধীন হবার পর আমরা যখন নিজস্ব ভূখন্ড পেলাম তখন আবারও উচ্চারিত হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি। আশির দশকে জিয়াউর রহমান সিলেট সফরে এলে সিলেটবাসীকে আশ্বস্ত করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের। কিন্তু তা বাস্তবে রূপ নেয়নি।
হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদের সময় সিলেটে এরশাদ বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তুঙ্গে ছিল। এরশাদ সিলেটে না আসতে পারলেও হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী পররাষ্ট্র উপদেস্টা নিযুক্ত হওয়ার পর তিনি নেপথ্যে বিরোধী ছাত্রনেতাদের ম্যানেজ করে এরশাদকে সিলেট আনেন এবং তৎকালীন জাতীয় পার্টি ও নতুন বাংলা ছাত্র সমাজ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি তুলান। ওই সময় আমাদের ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের এক বড় ছাত্রনেতা রাজপথ ছেড়ে জাতিসংঘে গেছেন তাঁর উপঢৌকন হিসেবে।
বলতে গেলে হুমায়ুন রশিদ চৌধুরীর একক প্রচেষ্টায় ও জোরালো ভূমিকার জন্য সিলেটে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়। কথিত আছে যে, এর কয়েক মাস পরই এরশাদ সাহেবের সৌদীতে রাষ্ট্রীয় সফর ছিল। ওমরাহ পালনের জন্য প্রেসিডেন্ট এরশাদ যখন ক্বাবায় গেলেন, সাথে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী। প্রেসিডেন্ট এরশাদের সম্মানে ক্বাবা ঘর খুলে দেওয়া হলো। ক্বাবা ঘরে ঢুকে ২ রাকাত নামাজ আদায়ের পর হুমায়ুন রশীদ সাহেব এরশাদকে বললেন, সিলেটের একটি দাবির কথা বলেছিলাম, আপনি ‘করে’ দিবেন বলে ওয়াদা করেছিলেন। কথা দিন দেশে ফিরে প্রথম এ কাজটি করবেন। এহরাম পরিহিত এরশাদ সাহেব বিস্ময়ের সুরে বললেন, এটা কী এসব আলোচনার জায়গা? নাছোড়বান্দা হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী বললেন, এখানে কথা দিন দেশে ফিরেই সিলেটে ইউনিভার্সিটি স্থাপনের কাজ শুরু করবেন। এরশাদ সাহেব কথা না বাড়িয়ে বললেন, তাই হবে। হুমায়ুন রশীদ সাহেব স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন।
দেশে ফেরার সময় ফ্লাইটে এরশাদ সাহেব হুমায়ুন রশীদ সাহেবকে বললেন, ক্বাবা ঘরের ভিতরে কেন আমাকে ওয়াদা করালেন? হুমায়ুন রশীদ সাহেব জবাব দিলেন, নানামুখি চাপে আপনি পিছিয়ে পড়তে পারেন এই ভয়ে। এরশাদ সাহেব মুচকি হেসে বললেন, আপনি দেশে গিয়েই সাইট সিলেকশনের কাজে লেগে যান। আমি নিজে যাব সাইট ভিজিটে সিলেটের কুমারগাও এ। ১৯৮৬ সালের ১৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা ও স্থান নির্ধারণ করে গঠিত কমিটি রিপোর্ট প্রদান করে। ১৯৮৬ সালের ৩০ এপ্রিল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সিলেট সফরে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী দীর্ঘদিন সৌদি আরবে রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত থাকায় এবং সাবলীল আরবি বলায় অনেক রাজপরিবারের সদস্যদের সাথে ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠে। তাঁরই ধারাবাহিকতায় সৌদি অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এলে তিনি শাহজালাল এর মাজার দেখানোর নাম করে এই সাইটটি হেলিকপ্টারে তাকে দেখান। এইভাবে সৌদি সাহায্যে গড়ে ওঠে সায়েন্স ফ্যাকাল্টি। কতজন মনে রেখেছে হুমায়ুন রশীদ এর কথা। “তখনো ভাত রে অন্ন বলার কাহিনী সিলেটে আসে নাই”।
লেখাটি অনেকটা লম্বা হয়ে যাচ্ছে। ইতিহাস একটু বলতে হচ্ছে এই কারণে যে, সিলেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলতে গেলেই একটা আবেগ চলে আসে। এর সাথে জড়িত আছে সিলেটবাসীর প্রায় শত বছরের আন্দোলন, সংগ্রাম, ত্যাগ ও বঞ্চনার ইতিহাস। আমদের স্কুল থেকেও আমরা মিছিলে গিয়েছি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে। আর এম সি কলেজকেতো পুরো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন মনে করেছি। অনেকেই তা ভুলে যায়। সেদিন পূর্ব লন্ডনে এক প্রবীণ মুরুব্বি আলতাব আলী পার্ক দেখিয়ে বললেন, “লন্ডনে অনেকে এখন আইসা ই কয় আমার বাংলা টাউন, আমার শহীদ মিনার, আমার ব্রিক লেন, আমার আলতাব আলী পার্ক। ওরা জানে না এই পার্ক তো আর এমনি দেয় নাই। এই পার্কের ভিতর আলতাব আলীকে জবাই হতে হয়েছে। এটা এরা হয় ভুলে গেছে না হয় বলে না।” তাই মাঝে মাঝে ইতিহাস বলতে হয়।
হল ভিত্তিক একটি ছাত্রী আন্দোলন কিভাবে এক দফার আন্দোলনে পরিণত হলো সেটা প্রশ্ন বোধক? রাত একটার সময় তাঁরা হলে ঢুকতে চায়। অথচ রাত ১০ টার মধ্যে তাদের হলে ঢোকার রেস্ট্রিকশন দেওয়া আছে। হলের প্রভোস্টের করোনা হয়েছে। পরিবারসহ আইসোলেশনে আছেন। অথচ তাকে আসতে বলা হয়েছে রাত বিরাতে। এটাই কী শিষ্টাচার? প্রভোস্ট না আসায় আন্দলোনকারীরা বলছে তিনি ‘অসদাচরণ’ করেছেন! এজন্য পদত্যাগ দাবি। মহিলা পদত্যাগও করেছেন। ঘটনা এখানেই শেষ হয়ে যেতে পারতো। না হয়নি। ‘জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালোর’ একটি লক্ষ্য ছিল। সবাই জানে ভিসিকে ‘অবরুদ্ধ’ করে দুই ঘণ্টা বন্দী রাখলে তিনি পুলিশ ডাকেন। এর আগের ঘটনা কেউ বলে না। তাঁকে ধাওয়া করা হলে ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করলে তিনি কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টে গিয়ে পালিয়ে বাঁচেন। তারপর পুলিশ আসে। পুলিশ সেখানে ‘এক্সেসেবল ফোর্স’ প্রয়োগ করলেও এটা ‘পাবলিক অর্ডার ইস্যু’। নজিরবিহীন হলেও।
এখন আসি উপাচার্য ইস্যুতে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসেছে তিনি সাদা দল করতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি জিয়া চেয়ারের সাথে জড়িত ছিলেন। এখন নীল দলের প্রধান খাম্বা। সব ঠিক আছে। সারা বাংলাদেশেইতো যারা আগে জামাত শিবির করতো তারাইতো এখন আওয়ামী লীগ করে। অরিজিন্যাল আওয়ামী লীগাররা এখন কোণঠাসা। দলে জায়গা নেই। প্রশ্ন হলো তাঁর ব্যাপারে কি কোন নৈতিক স্খলন ও দুর্নীতি কোন অভিযোগ আছে? উত্তর ঋণাত্মক। তাহলে এই ‘ইগো’ কেনো? কেন এক দফার আন্দোলন? কেন ১৬৫ ঘণ্টার অনশন?
একজন ফেসবুকে লিখেছেন, “নাটকে ফাঁসি হলে মিছিল হয়। প্রিয় খেলোয়াড় বিশ্বকাপ ক্রিকেটে খেলার সুযোগ না পেলে হরতাল হয়? সেটা কোন দেশ? বাংলাদেশ। আজব দেশ। কখন জানি স্বামী স্ত্রী ঝগড়া বাধলে কেউ আবার হরতাল ডাকে কিংবা পিতা পুত্রকে শাসন করলে পিতার পদত্যাগের দাবীতে কখন অনশন শুরু হয় তাই ভাবছি।”
আরেকটা জিনিস আমার কাছে খুবই পজিটিভ লেগেছে, সেটা হলো আওয়ামী লীগ এটাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে এর রাজনৈতিক সমাধান করার চেষ্ঠা করেছে। এজন্য প্রায় এক সপ্তাহ প্রায় না খেয়ে ক্যাম্পাসে পড়েছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল। ব্যাপারটাকে হ্যান্ডল করেছেন খুব নাইসলি। ছাত্রদের আন্দোলন সহিংস রূপ পায়নি। তিনি লোকাল নেতৃবৃন্দকে সম্পৃক্ত করেছেন। যার মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমেদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, বিধান কুমার সাহা, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, ইলিয়াসুর রহমান, কামরান আহমেদ, জুমাদিন প্রমুখ। বিশেষ করে অধ্যাপক জাকির হোসেন এর নির্ঘুম রাতের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে ।
লেখাটি শেষ করতে চাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় এ প্রায় ৫০০ এর মতো শিক্ষক আছেন। তাদের মধ্যে একজন শিক্ষকও নেই যে অনশনকারীরা তাকে ভরসা করতে পারে। চিন্তা করুন একজন শিক্ষা মন্ত্রী ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলাপ করছেন। জীবনে কী কখনো দেখেছেন এই দৃশ্য! আসলে এরা চেয়েছিলো ‘ডমিনো ইফ্যাক্ট’। বুঝিয়ে বলি, একটা পড়লে দশটা পড়বে। বাচ্চারা অনেকগুলো সিগারেটের বাক্স নিয়ে খেলে – একটায় টোকা দিলে সবগুলো গড়িয়ে পরে, সেভাবে। সেটা ঘটেনি ।
লেখকঃ তাহমীম সৈয়দ হক, যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাবেক ছাত্রনেতা, আইনজীবি, কলামিস্ট ও কথা সাহিত্যক।